আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
ছোট বেলায় কিছু দোকান থেকে না বলে চকলেট খাওয়া হয়েছিল এখন এই ভুলটা বুঝতে পারছি এটা অনেক বড় গুনা হয়েছে এখন আমি তাদের হক কিভাবে আদায় করব,,,,, আমি কি তাদের পক্ষ থেকে দান সদকা করে দিতে পারব?

যে দোকানগুলো থেকে  না বলে চকলেট খাওয়া হয়েছে তার মধ্যে শুধু একটি দোকান এখনো আছে কিন্তু তাকে বলতে লজ্জা হচ্ছে আমি চাচ্ছিলাম উনার পক্ষ থেকে থেকে কিছু দান সদকা করে দিতে এটা কি সঠিক হবে

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى

অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।
,
ফুকাহায়ে কেরামগন সহজের দিক লক্ষ্য করে বলেছেন যে এক্ষেত্রে মনে মনে এই ভাবে নিয়ত করতে হবে যে আমার জীবনের সর্বপ্রথম/সর্বশেষ  ফজরের নামাজ,যেটা আমি আদায় করিনি,তার কাজা আদায় করছি।
এই ভাবে সকল নামাজের নিয়ত করবে।
,
উমরি কাযা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো  কারো নিকট বান্দার হক পাওনা থাকলে,প্রথমে উক্ত হক পরিশোধের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে।সাধ্যমত চেষ্টা করার পরও যদি সেই হককে আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত প্রাপ্য হক্বকে সেই ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিবে।এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবে। আল্লাহ তা'আলা কারো প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলে নিজ পক্ষ্য থেকে বান্দার হককে আদায় করে দিবেন।

,
এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকলে জানানোটা আবশ্যকীয় নয়। বরং সম্ভাব্য যে কোন পদ্ধতিতে তাকে সম্পদটা ফিরিয়ে দিবে; যেমন তার একাউন্টে জমা করে দেওয়া কিংবা এমন কাউকে দেওয়া যে তার কাছে পৌঁছিয়ে দিবে কিংবা এ ধরণের অন্য কোন মাধ্যমে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত চকলেট গুলোর টাকা অনুমান করে একটি এমাউন্ট নির্দিষ্ট করবেন,অতঃপর যেই ব্যক্তিকে এখন পাওয়া যায়,তাকে এই বলে দিবেন যে এটি আপনার পাওনা। 
,
নিজে সমস্যা মনে করলে অন্য কাহারো মাধ্যেম দিয়ে দিবেন।
,
আর যেই ব্যাক্তিদের এখন পাওয়া যাচ্ছেনা, 
এই ছুরতে উক্ত চকলেট গুলোর টাকা অনুমান করে একটি এমাউন্ট নির্দিষ্ট করবেন,অতঃপর সেই দোকানদার ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিবেন।
,
আরো জানুনঃ 

বিস্তারিত জানুনঃ 
,


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...