আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্

১/ কেউ যদি কোরআনে কোনো সূরার আয়াত সারাদিন পড়ে মুখস্থ করে মাঝে মাঝে ওজু থাকে না, এতে কি গুনাহ হবে?
২/ কারো মা-বাবার সাথে দাদা-দাদি কিংবা ফুফুদের ভালো সম্পর্ক না থাকলে কোনো বিষয়ে ঝগড়া হলে, সেই মা-বাবার সন্তানেরা কিভাবে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করবে???

 মা-বাবার সাথে ঝগড়া হওয়ার কারণে ফুফুরা দাদি দাদা নিজের নাতি নাতনিদেরও দেখতে পারে না, সেক্ষেত্রে দূর থেকে দুআ করলে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকবে???

৩/ হেদায়েত পাওয়ার আগে কার হক কিভাবে নষ্ট করছি মনে নাই? কিন্তু মনে হচ্ছে , অনেকভাবেই কারো না কারো হক ত নষ্ট করেছি এখন করণীয় কি???
৪/ গীবত করা থেকে গীবত শুনা হয় বেশি, শুনতে চাইনা কিন্তু বাধ্য হয়ে শুনতে হয়, আমি  গীবত না শুনলে নানু  কান্না করে এবং বলে,, আমার দুঃখগুলো প্রকাশ করতেছি৷  অনেক বুঝানোর চেষ্টা  করি গীবতের ব্যপারে অনেক মাসআলা বলি কিন্তু নানু বুঝতে চাইনা। মাঝে মাঝে আমি কানে ইয়ার ফোন লাগিয়ে ফুল সাউন্ডে নাশিদ বা তেলাওয়াত শুনি ওনার কথাতে হা হু করি। এতে কি আমার গুনাহ হবে??
যার  নামে গীবত শুনছি তার কাছে মাফ চাওয়া সম্ভব না  হলে এখন করণীয় কি??

৫/ মাহফিলে জিকির করতেছে,, ত  মাহফিলে যেই হুজুর জিকির করতেছে, তাহিরির মতন জিকির করতেছে । আমাদের ফ্যামিলির সবাই জিকিরগুলো শুনে হাসতেছে। আমি বলতেছি, বেডা হালাল জিকির করতাছে.... তারপর আমার  বড় মামা হাসতে হাসতে  বলতেছে,, তাহলে হারাম জিকির কোনগুলো!
আমি  মজা করে বলতেছি,, আমরা যেভাবে জিকির করি এগুলো হারাম  আর বেডার জিকিরগুলো হালাল...
★এভাবে বলাতে কি আমাদের ইমানের সমস্যা হয়েছে??  গুনাহ হয়েছে কি???

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কেউ যদি কোরআনে কোনো সূরার আয়াত সারাদিন পড়ে মুখস্থ করে, মাঝে মাঝে ওজু থাকে না, এতে গুনাহ হবে না। তবে বিনা অজুতে কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। করলে গোনাহ হবে। 

(২) কারো মা-বাবার সাথে দাদা-দাদি কিংবা ফুফুদের ভালো সম্পর্ক না থাকলে, কোনো বিষয়ে ঝগড়া হলে, সেই মা-বাবার সন্তানেরা যথাসম্ভব আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার চেষ্টা করবে।
মা-বাবার সাথে ঝগড়া হওয়ার কারণে ফুফুরা দাদি দাদা নিজের নাতি নাতনিদেরও দেখতে না পাররে, সেক্ষেত্রে দূর থেকে দুআ করলেই আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা হয়ে যাবে। 

(৩) হেদায়েত পাওয়ার আগে কার হক কিভাবে নষ্ট করা হয়েছে, মনে না থাকলে, যথাসম্ভব মনে করার চেষ্টা করতে হবে। এবং তাদের নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। তাদের খুজে না পেলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর্থিক হক থাকলে, তাদের নামে সদকাহ করে দিতে হবে।

(৪) গীবত না শুনার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। যদি শেষ পর্যন্ত অপারগ হয়ে যান, তাহলে ইস্তেগফার করে করে শুনে নিতে পারবেন, তবে মনে কিছুই নিবেন না। অন্য মনস্ক হয়ে শুনবেন।

(৫) আমরা যেভাবে জিকির করি এগুলো হারাম  আর বেডার জিকিরগুলো হালাল...এভাবে বলাটা সম্পূর্ণ ভুল। আপনি এখনই তাওবাহ করবেন। ঈমানে সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...