ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
https://ifatwa.info/97343/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলাম প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। যে তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়
সে কবিরা গুনাহ করে। নিজ প্রতিবেশীকে যে কোনভাবে কষ্ট দেয়া কবীরা গুনাহ্। যে ব্যক্তি
নিজ প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় সে সত্যিকারের মু’মিন নয়।
আবূ শুরাইহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি
বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
وَاللهِ لَا يُؤْمِنُ، وَاللهِ
لَا يُؤْمِنُ، وَاللهِ لَا يُؤْمِنُ، قِيْلَ: وَمَنْ يَا رَسُوْلَ اللهِ!؟ قَالَ:
الَّذِيْ لَا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ.
‘‘আল্লাহ্’র কসম! সে ব্যক্তি মু’মিন
হতে পারে না। আল্লাহ্’র কসম! সে ব্যক্তি মু’মিন হতে পারে না। আল্লাহ্’র কসম! সে ব্যক্তি
মু’মিন হতে পারে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হলো: হে
আল্লাহ্’র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! সে ব্যক্তি কে? তিনি বললেন: যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়’’। (বুখারী
৬০১৬)
প্রতিবেশীকে কষ্ট দিয়ে জান্নাতে যাওয়া
যাবে না। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ করেন:
لَا يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ مَنْ
لَا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ.
‘‘সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে
না যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়’’। (মুসলিম ৪৬)
নিজ প্রতিবেশীর প্রতি দয়াশীল হওয়া
সত্যিকারের ঈমানের পরিচায়ক। আবূ হুরাইরাহ্ এবং আবূ শুরাইহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তাঁরা
বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ
وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُحْسِنْ إِلَى جَارِهِ.
‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা‘আলা ও পরকালে
বিশ্বাসী সে যেন তার প্রতিবেশীর প্রতি দয়াশীল হয়’’। (মুসলিম ৪৭, ৪৮)
প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া জাহান্নামে
যাওয়ার অন্যতম কারণ। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
قِيْلَ: يَا رَسُوْلِ اللهِ !
إِنَّ فُلَانَةً تُصَلِّيْ اللَّيْلَ وَتَصُوْمُ النَّهَارَ، وَفِيْ لِسَانِهَا
شَيْءٌ يُؤْذِيْ جِيْرَانَهَا سَلِيْطَةٌ، فَقَالَ: لَا خَيْرَ فِيْهَا، هِيَ فِيْ
النَّارِ.
‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
কে বলা হলো: হে আল্লাহ্’র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! অমুক মহিলা রাত্রিবেলায়
নফল নামায পড়ে এবং দিনের বেলায় নফল রোযা রাখে অথচ সে কর্কশভাষী তথা নিজ মুখ দিয়ে অন্যকে
কষ্ট দেয়। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তার মধ্যে কোন কল্যাণ নিহিত
নেই। সে জাহান্নামী’’। (হা’কিম ৪/১৬৬)
★সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. যদি প্রকৃত অর্থেই উক্ত মহিলা প্রতিবেশীকে
কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রশ্নেল্লিখিত আচরণগুলো করে থাকে তাহলে সে প্রতিবেশীর সাথে
খারাপ ব্যবহার করার কারণে গুনাহগার হবে।
২. এমন পরিস্থিতিতে সবর ও দোয়া করার পাশাপাশি উক্ত মহিলাকে বুঝানোর জন্য চেষ্টা
করতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় কোন আলেমা বা দ্বীনি কোন বোনের মাধ্যমে তাকে দ্বীনের দাওয়াত
দিতে হবে।