আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in সালাত(Prayer) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,

১. স্ত্রীর নামাজরত অবস্থায় স্বামী ফোন দিলে, স্ত্রী নামাজ ছেড়ে ফোন রিসিভ করতে পারবে কি?

২. কুরআনের ফজিলতপূর্ণ সূরা সমূহের যে ফজিলত বর্ণনা করা হয় সেগুলো কি শুধু রেগুলার তিলাওয়াত করলেই অর্জিত হবে? নাকি সেই সকল সূরা তিলাওয়াত করার পাশাপাশি তাদের অন্তর্নিহিত অর্থ অনুভব করে সেই অনুযায়ী জীবন গঠন করার মাধ্যমে অর্জিত হবে? আসলে কোনটা বুঝানো হয়? (যেমন: বলা হয় সূরা কাহাফ/বাকারা তিলাওয়াত করলে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি মিলবে, সূরা মূলক তিলাওয়াত করলে কবরের আজাব থেকে মুক্তি মিলবে, সূরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করলে রিজিকের পেরেশানি হবে না ইত্যাদি)

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি স্বামী তার স্ত্রীকে ডাক দেয়, এবং স্ত্রী নামাযে থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় স্ত্রীর নামায ভঙ্গের ব্যাপারে কতিপয়  ব্যখ্যা রয়েছে,

(১)
যদি স্বামী নিজের সাহায্যর জন্য আবেদন করে যে, স্ত্রী এসে তাকে রক্ষা করবে, উদ্বার করবে, অথবা কোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে, তাহলে এমতাবস্থায় স্ত্রীর জন্য নামায ভঙ্গ করা ওয়াজিব। চায় স্ত্রী নফল রোযা আদায় করুক বা ফরয রোযা আদায় করুক। এবং এই বিধান শুধুমাত্র স্ত্রীর জন্য নয় বরং সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

(২) যদি স্বামী বিনা জরুরতে এমনিতেই ডাকেন, এবং স্বামী জানেন যে, স্ত্রী নামাযে আছেন, তাহলে এমতাবস্থায় স্বামীর জন্য স্ত্রীকে ডাকাও জায়েয হবে না এবং স্বামীর ডাকে জবাব দেওয়া স্ত্রীর জন্য জায়েযও হবে না।

لما في الدر المختار وحاشیہ ابن عابدین :
"ويجب القطع لنحو إنجاء غريق أو حريق. ولو دعاه أحد أبويه في الفرض لا يجيبه إلا أن يستغيث به. وفي النفل إن علم أنه في الصلاة فدعاه لا يجيبه وإلا أجابه.

(قوله: ويجب) أي يفترض (قوله: لايجيبه) ظاهره الحرمة سواء علم أنه في الصلاة أو لا ط.(قوله: إلا أن يستغيث به) أي يطلب منه الغوث والإعانة، وظاهره ولو في أمر غير مهلك واستغاثة غير الأبوين كذلك ط.

والحاصل أن المصلي متى سمع أحدا يستغيث وإن لم يقصده بالنداء، أو كان أجنبيا وإن لم يعلم ما حل به أو علم وكان له قدرة على إغاثته وتخليصه وجب عليه إغاثته وقطع الصلاة فرضا كانت أو غيره (قوله: لايجيبه) عبارة التجنيس عن الطحاوي: لا بأس أن لا يجيبه. قال ح: وهي تقتضي أن الإجابة أفضل تأمل اهـ.قلت: ومقتضاه أن إجابته خارج الصلاة واجبة أيضا بالأولى. والظاهر أن محله إذا تأذى منه بترك الإجابة لكونه عقوقا تأمل.

هذا، وذكر الرحمتي ما معناه أنه لما كان بر الوالدين واجبا وكان مظنة أن يتوهم أنه إذا ناداه أحدهما يكون عليه بأس في عدم إجابته دفع ذلك بقوله: لا بأس ترجيحًا لأمر الله تعالى بعدم قطع العبادة؛ لأن نداءه له مع علمه بأنه في الصلاة معصية، ولا طاعة لمخلوق في معصية الخالق، فلا تجوز إجابته؛ بخلاف ما إذا لم يعلم أنه في الصلاة فإنه يجيبه، لما علم في قصة جريج الراهب، ودعاء أمه عليه، وما ناله من العناء لعدم إجابته لها فليس كلمة لا بأس هنا لخلاف الأولى لأن ذلك غير مطرد فيها، بل قد تأتي بمعنى يجب والظاهر أن هذا منه."(کتاب الصلاۃ،باب ادراک الفریضۃ،ج:۲،ص:۵۱،۵۲,سعید)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...