আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমি একটা বিষয় নিয়ে খুব দ্বিধাবোধ করছি।
আমি বাবার বাড়িতেই থাকি আমার মেয়ে সহ।আমি টিউশনি করে মাসে সামান্য কিছু উপার্জন করি আলহামদুলিল্লাহ।  যেহেতু মেয়ে নিয়ে থাকি তাই যা উপার্জন করি তার ৯০% আব্বুকে দিতে হয়।
আমার আব্বু ভিষণ রগচটা আর বদমেজাজি মানুষ। তিনি স্বাভাবিক ভরনপোষণ বলতে যতটুকু বোঝায় ততটুকুকেও বিলাসিতা মনে করেন।দেখা যায় আমার মায়ের পোশাক চিড়ে ত্যানাত্যানা হয়ে যাচ্ছে, সেলাই দিয়ে দিয়ে পরতেছে তবুও পোশাখ কিনতে বললেই ঝগড়া বাধিয়ে দেয় সংসার নাকি শেষ হয়ে যায়। আবার বাপে শীতের পোশাক পড়ে ২-৩ হাজার টাকা দামের আর আমার মাকে এনে দেয় ১০০-১৫০ টাকা দামের।
তো আমি তাকে না বলে তার পকেট থেকে ১-২ হাজার করে টাকা বের করে রেখে দি।এই টাকা আমি কয়েকটা কাজে লাগায়,আমার টাকা তাকে দি আর আমার প্রয়োজন ঐটাকা দিয়ে পুরন করি,মায়ের চাহিদা পুরন করি,নয়তো তিনি যখন পরে আমার কাছে টাকা চান ঐটাকা টায় ফেরত দি।এতে কোন ঝামেলা গন্ডগোল হয়না।
প্রশ্ন হচ্ছে এই কাজের জন্য আমার গুনাহ হচ্ছে কি?আমি শুধু ঝামেলা এড়িয়ে শান্তি বজায় রাখতেই এই কাজ করি।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ : ﺃﻥ ﻫﻨﺪ ﺑﻨﺖ ﻋﺘﺒﺔ ﻗﺎﻟﺖ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ، ﺇﻥ ﺃﺑﺎ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺭﺟﻞ ﺷﺤﻴﺢ ﻭﻟﻴﺲ ﻳﻌﻄﻴﻨﻲ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻨﻲ ﻭﻭﻟﺪﻱ ﺇﻻ ﻣﺎ ﺃﺧﺬﺕ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﻻ ﻳﻌﻠﻢ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺧﺬﻱ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻚ ﻭﻭﻟﺪﻙ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ .
হিনদ বিনতে উতবা রাঃ নবী কারীম সাঃ এর কাছে (নিজ স্বামীর অভিযোগ নিয়ে এসে) বললেনঃহে রাসুলুল্লাহ সাঃ আবু সুফিয়ান একজন কৃপন মানুষ, সে আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভরণ-পোষণ দেয় না,যদ্দরুন তার অজান্তে তার মাল থেকে আমি খরছ করে ফেলি, (এ বিষয়ে শরীয়তের দিকনির্দেশনা আমাদেরকে বলুন)রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ ন্যায়সঙ্গত ভাবে তোমার ও তোমার সন্তানদের যা প্রয়োজন তা (তার অজান্তে)নিয়ে নিতে পারো(এতে কোনো অসুবিধা হবে না)।"(সহীহ বুখারীঃ৫৩৬৪)আরও বর্ণিত আছে৫৭৮৬ নং হাদীসে।  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1111

সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব বাবার। এ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2362

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেই টাকা আপনার বাবার পকেট থেকে সরিয়ে রাখছেন, যেহেতু সেই টাকাকে আবার বাবার কাছেই ফিরিয়ে দিচ্ছেন -এবং সেটা যেভাবেই হোক- তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় এমনটা করার রুখসত আপনার রয়েছে। তবে আপনার বাচাইকৃত পদ্ধতি অনিরাপদ। কখনো বাবা জেনে গেলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। সুতরাং বাবার হেদায়েতের জন্য দু'আ করবেন।  আল্লাহ আপনার বাবাকে বুঝার তাওফিক দান করুক। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...