ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
স্বামী যদি বিহিত কোনো কারণ ছাড়া স্ত্রী-সন্তানের
তথা সাংসারিক জরুরি খরচ না দেয়, তাহলে স্ত্রী স্বামীর
অনুমতি ছাড়াও স্বামীর সম্পদ থেকে প্রয়োজনমতো অপচয় না করে খরচ করতে পারবে।
হাদিস শরিফে এসেছে, ‘সাহাবিয়া হিন্দ বিনতে উতবা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে
এসে বলেন,
হে আল্লাহর রাসুল! (আমার স্বামী) আবু সুফিয়ান সংসারের খরচে সংকীর্ণতাকারী, সে আমার ও আমার সন্তানের প্রয়োজনীয় পরিমাণে খরচ দেয় না, তবে আমি তার অগোচরে তার থেকে কিছু নিয়ে থাকি। রাসুলুল্লাহ (সা.)
বলেন,
‘হ্যাঁ, তুমি তোমার ও তোমার
সন্তানের প্রয়োজন পরিমাণ তার অগোচরে তার থেকে নিতে পারবে।’ (বুখারি : হাদিস ৫২৬৪, বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৭)
তবে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মালিকানা
ভিন্ন হওয়ায় অনুমতি ছাড়া একে অন্যের সম্পদ ব্যয় করা অবৈধ। স্বামী যদি নিয়মমাফিক ভরণপোষণ
ও স্বাভাবিক হাতখরচের প্রয়োজন পূরণ করে থাকে, তাহলে তার কাছ
থেকে তার অগোচরে টাকা-পয়সা নিয়ে নেওয়া এবং তাকে না জানিয়ে বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা বৈধ
হবে না। (আল বাহরুর রায়েক : ৪/১৭৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার
পিতা যদি স্বীয় স্ত্রী ও পরিবারের যাদের খরচ বহন করা তার উপর আবশ্যক তাদের ভরনপোষণ
না দেয়,
সেক্ষেত্রে তাদের যতটুকু ওয়াজিব হক, বাবার সম্পদ থেকে ততটুকু টাকা বাবাকে না বলে নিয়ে তাদের দেয়া
যাবে বা তাদের জন্য খরচ করা যাবে। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেওয়া কোন অবস্থাতেই
জায়েয হবে না। এক্ষেত্রে পূর্বের কৃত কর্মের জন্য বাবার নিকটে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। আরো জানুন: https://ifatwa.info/49741/