ব্যবহারিক খাতা প্রসঙ্গে

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ

১)আমার এসএসসির ফিজিক্স ব্যবহারিক খাতা যেই শিক্ষক সাইন করেছেন তিনি শুধু শেষ পেইজে একটা সাইন আর ইনডেক্স এ সাইন করে দেয়েছেন আর বলেছেন সব পেইজে যেন নিজে লাল কালি দিয়ে সাইন দিয়ে নেই।আজকে আমার ফিজিক্স ব্যবহারিক পরীক্ষা। তাই এই খাতা আমার আজকেই লাগবে।আমার জন্য কি লাল কালি দিয়ে সবগুলো পেইজে টিক দেওয়া জায়েজ হবে?আর এই সাইন করা খাতাটা দিয়ে প্র‍্যাকটিকাল মার্ক পাওয়া জায়েজ হবে,ইনশাআল্লাহ?

২) ফরজ সালাতে ৩য় বা ৪র্থ রাকাতে ভুলে বিসমিল্লাহ বা সুরা পড়ে ফেলতে নিলে যখন আয়াতের মাঝখানে বা বিসমিল্লাহ বলার মাঝখানে মনে পড়লে তখন কি আয়াত বা বিসমিল্লাহ শেষ করে রুকুতে যাবো নাকি সাথে সাথেই রুকুতে যাবো?আর এরকম আরো অন্যান্য রুকনে হলে করণীয় কি?যেমন:দুই সিজদার মাঝে ভুলে তাশাহহুদ পড়তে নিলে মাঝখানে মনে পড়লে,সিজদায় ভুলে কিরাত পড়তে নিলে মাঝে মনে পড়লে ইত্যাদি।
৩)নামাজে পায়ের পাতার আঙুল নড়িয়ে ঠিক করলে বা পায়ের পাতাটা নাড়িয়ে ঠিক করলে(একদম অল্প, বাহিরের মানুষ হয়তো বুঝবেও না।এরকম হালকা ভাবে আঙুল বা পা, অন্যন্য অঙ্গ হালকা ভাবে নড়ে গেলে কি আমলে কাছীর এর নড়াচড়ার মধ্যে পড়বে?মানে আমলে কাছীর হবে?

৪)নামাজে দুই পায়ের পাতা একদম লাগিয়ে রাখলে মনে হয় পড়ে যাচ্ছি,,শরীরও মাঝে মাঝে নড়ে যায়,, এক্ষেত্রে কি আমলে কাছীর হবে,, আর এরকম অবস্থা এড়াতে করণীয় কি?

Comments

২)  ফরজ সালাতের ৩য় বা ৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতিহার পর ভুলে বিসমিল্লাহ বা সূরা পড়ে ফেলতে নিলে যখন আয়াতের মাঝখানে বা বিসমিল্লাহ বলার মাঝখানে মনে পড়ে তখন কি আয়াত বা বিসমিল্লাহ শেষ করে রুকুতে যাবো নাকি সাথে সাথেই রুকুতে যাবো?আর এরকম আরো অন্যান্য রুকনে হলে করণীয় কি?যেমন:দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে বসাকালীন দোয়ার বদলে ভুলে তাশাহহুদ পড়তে নিলে মাঝখানে মনে পড়লে তখন করণীয় কি?সিজদায় ভুলে কিরাত পড়ে ফেলতে নিলে আয়াতের মাঝখানে মনে পড়লে করণীয় কি থাকবে,ইনশাআল্লাহ? 

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১)

যেহেতু শিক্ষক আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন, তাই আপনি এটা করতে পারবেন।

(২) 

প্রশ্নটি অগোছালো। দয়া করে পরিস্কার করে কমেন্টে লিখে দিবেন। তখন জবাব ইডিট করে দিবো। 

(৩) 

মুসাল্লির এমন নড়াচড়া যা নামায পরিপন্থী, তা দু-ভাগে বিভক্ত-

(ক)পরিমাণে সামান্য, যাকে শরয়ী পরিভাষায় 'আ'মলে ক্বালীল' বলা হয়ে থাকে।

(খ)পরিমাণে বেশী যাকে শরয়ী পরিভাষায়  'আ'মলে কাসির' বলা হয়ে থাকে।

নামাযরত অবস্থায় মুসাল্লির কোনো প্রকার হারকাত/নড়াচড়া 'আ'মলে কাছির' বলে প্রমাণিত হলে,উক্ত মুসাল্লির নামায সর্বসম্মতিক্রমে ফাসিদ হয়ে যাবে।

আ'মলে কাছির নির্ণয়ে ফুকাহায়ে কেরামের মধ্য যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে।যথা- বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/445

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

নামাযে পায়ের আঙ্গুল ঠিক করতে পারবেন। এতে আমলে কাছির হবে না। এবং নামাযও ফাসিদ হবে না।

(৪) পা সামান্য ফাক রাখতে পারবেন। নামায ফাসিদ হবে না।