আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in পবিত্রতা (Purity) by (51 points)
সম্মানিত মুফতি সাহেবের নিকট অনুরোধ,  পুরোটা লেখা কষ্ট করে একটু সময় নিয়ে পড়ার।
আমার প্রথম সন্তানের বয়স প্রায় ৬ মাস আলহামদুলিল্লাহ।
এখন,  আরেকজন সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করা  উচিত হবে কি না সম্মানিত মুফতি সাহেবের নিকট পরামর্শ চাচ্ছি।
পরামর্শ চাওয়ার ২ টি কারণ -
১) আরেকজন সন্তান পেটে আসলে দুধের বাচ্চার দুধ অনেক সময় কম আসে বা বন্ধ হয়ে যায়।  সেক্ষেত্রে কি আরেকজন সন্তান নেয়া  প্রথম বাচ্চার প্রতি জুলুম হিসেবে দেখা হবে?
আমার প্রথম সন্তান যেহেতু অনেক ছোট,  আমি এখন কন্সিভ করলে আরেকজন সন্তান হওয়ার সময় ওর বয়স থাকবে মাত্র ১৫/১৬ মাস।  এই বয়সে বাচ্চারা অনেকটাই মায়ের উপর নির্ভরশীল থাকে।   আরেকজন হলে তো ওর দেখভালের ঘাটতি হবেই। সেটা কি ওর উপর জুলুম করা হবে?
২) আমার হাসবেন্ড এখনো কোনো জব করেন না। আমি বাবার বাড়িতে থাকি।  আরেকজন সন্তান হলে ( রিজিকের ভয় করি না) ডায়াপার + কাপড়চোপড় + সিজারের খরচাদি মিলিয়ে এগুলো কিভাবে কি করব সেই চিন্তা মাথায় আসছে। ছোট ছোট দুইজন বাচ্চা পালতে গেলে তো ডায়াপার + অন্যান্য খরচাদি অনেক লাগবে।
আর বাচ্চাকাচ্চা ছোট থাকলে নাপাকি নিয়ে খুব ঝামেলা হয় আমার।  জীবনটা দুর্বিষহ লাগতে থাকে।
সর্বদিক বিবেচনা করে আমার এখন আরেকজন সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত হবে?
✒️ একটি প্রশ্ন -- দুধের  বাচ্চারা যে অনেক অল্প একটু বমি করে সেই বমিটাও কি নাপাক ধরতে হবে?  নাকি মুখ ভরে বমি করলে সেটা নাপাক?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো  যদি মহিলা অত্যাধিক দুর্বল হয়, যার কারণে গর্ভধারণ তার জন্য আশঙ্কাজনক হয় এবং গর্ভধারণের মেয়াদ চার মাসের কম হয়। তাহলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক গর্ভপাত বৈধ হবে। মেয়াদ চার মাসের অধিক হলে কোনোভাবেই বৈধ হবেনা।

খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান ইত্যাদির অভাবের কারণে সংসারকে সচ্ছল করার নিয়তে, দৈহিক সৌন্দর্য বা ফিগার ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে ,কন্যাসন্তান জন্ম নেয়ার ভয়ে (যাতে পরবর্তীতে এদের বিয়ে শাদীর ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়),অধিক সন্তান নেয়াকে লজ্জার বিষয় মনে করে গর্ভপাত বিশেষত অভাবের কারণে সংসারকে সচ্ছল করার নিয়তে গর্ভপাত করলে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা রিজিকের মালিক আল্লাহ।

আল্লাহ তায়ালা  বলেছেন, 

ولا تقتلوا أولادكم خشية إملاق، نحن نرزقهم وإيّاكم إنّ قتلهم كان خطأ كبيراً. 

‘’দারিদ্রতার ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানকে হত্যা কর না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই খাদ্য প্রদান করে থাকি।নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ…’’(সূরা ইসরা, আয়াত-৩১)

অন্যত্র তিনি বলেন, الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ . “শয়তান তোমাদের অভাবের ওয়াদা দেয়।” (সূরা আল-বাক্বারা)

আধুনিক যুগে ভ্রুণহত্যা জাহেলি যুগে কন্যাসন্তানকে
জীবন্ত সমাধিস্থ করার নামান্তর। তখন বাবা নিজ মেয়েকে গর্তে পুঁতে ফেলত; আর এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা
মায়ের পেটেই শিশুকে মেরে ফেলা হয়। এ দুই হত্যার মধ্যে বাহ্যত কোনো তফাত নেই। এজন্য

রাসুলুল্লাহ (সা.) ভ্রুণহত্যাকে ‘গুপ্তহত্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘স্মরণ কর ওই
দিনকে, যেদিন জীবন্ত সমাধিস্থ নিষ্পাপ
বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমাকে কোন অপরাধের কারণে হত্যা করা হয়েছে?’ (সূরা তাকয়ির :৮)।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
চার মাসের পূর্বে বিশেষ কিছু কারণে শরীয়ত গর্ভপাতকে অনুমোদন প্রদান করে থাকে।
,
(ক)বর্তমানে কোলে দুধের একটি শিশু রয়েছে,অপরদিকে উক্ত মহিলার গর্ভাশয়ে নতুন সন্তানও উৎপাদিত হচ্ছে। গর্ভের দরুন দুধ একেবারে শুকিয়ে গেছে।অপরদিকে উক্ত সন্তানকে অন্যকোনো উপায়ে লালনপালন করা যাচ্ছেনা। মায়ের দুধ ব্যতীত অন্যকিছুতে সে মূখই দিচ্ছে না।এমতাবস্থায় চারমাস হয়নি এমন গর্ভকে গর্ভপাত করা বৈধ রয়েছে।
,
(খ)কোনো মুসলমান বিজ্ঞ ডাক্তার উক্ত গর্ভবতী মহিলাকে পরিদর্শন করে বলে যে,গর্ভপাত না করলে মহিলার জান বা কোনো অঙ্গ বিনাশের আশঙ্কা রয়েছে।

আরো জানুনঃ 
,
জন্ম নিয়ন্ত্রণ এর মাসয়ালা জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার এখন আরেকজন সন্তান নেওয়ার চেষ্টা না করাই উচিত। 

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বমি যেহেতু মুখ ভরে নয়,তাই সেই বমি নাপাক নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
তাহলে,  কবে আরেকজন সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করলে সেটা উত্তম হবে. ?  
দয়া করে জানাবেন মুহতারাম 
by (574,050 points)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
আরেকজন সন্তান পেটে আসলে দুধের বাচ্চার দুধ অনেক সময় কম আসে বা বন্ধ হয়ে যায়।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের জন্য সন্তানের বয়স ২ বছর পূর্ণ হলে সেক্ষেত্রে আরেকজন সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করলে সেটা উত্তম হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...