আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি একটি বাইক নিতে চাই,আমি একজন কে চিনি যিনি সুদে টাকা দেন,আমি যদি তাকে এই শর্ত দেয় যে ভাই আমাকে ৭০ হাজার টাকা দিবেন আমি আপনাকে দশ হাজারে একশ টাকা দিবো। কিন্তু আমি সরাসরি টাকা নিবো না,তাকে বলবো যে এই ৭০ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে ঐ গাড়ি টা কিনে দেন তারপর যা সুদ+আসল আসে ঐ হিসাব করে আমি আপনার থেকে নিবো, তারপর টাকা টা আস্তে আস্তে শোধ করবো।এটা কি হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/325/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে।সুদ হবে না।তবে শর্ত হল যে, দেড়ীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই  একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।
যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা।আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা।
এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে।পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না।কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪

ইসলামের দৃষ্টিতে কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয় করা বৈধ এবং কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের কারণে নগদ মূল্যের অতিরিক্ত মূল্য নেয়া সর্বসম্মতভাবে বৈধ। এটি সুদ নয়। 

তবে ইসলামের বিধান অনুযায়ী সুদ তখন হবে যখন এক জাতীয় দুটি জিনিস লেনদেনের ক্ষেত্রে কম-বেশী করা হয়-চাই নগদে হোক অথবা বাকিতে হোক। যেমন: ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ১১ কেজি চাল নেয়া, ২০০ টাকার পরিবর্তে ২১০ টাকা নেয়া ইত্যাদি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: “ التَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَالْحِنْطَةُ بِالْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ يَدًا بِيَدٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ اسْتَزَادَ فَقَدْ أَرْبَى إِلاَّ مَا اخْتَلَفَتْ أَلْوَانُهُ ” .
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: খেজুরের বিনিময়ে খেজুর, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব ও লবণের বিনিময়ে লবণ সম পরিমাণ ও হাতে হাতে হতে হবে। কেউ যদি বেশি দেয় বা বেশি নেয় তবে সুদ হবে। তবে যদি এর শ্রেণী পরিবর্তন হয় (যেমন, খেজুরের বিনিময়ে গম, গমের বিনিময়ে লবন….ইত্যাদি) তবে কমবেশি করাতে কোন অসুবিধা নেই।”
[সহিহ মুসলিম, অধ্যায়: স্বর্ণের বদলে রৌপ্য ও রৌপ্যের বদলে স্বর্ণ নগদ বেচাকেনা, হা/৩৯৫৮)]

শরীয়তের বিধান মতে শর্তসাপেক্ষে কিস্তিতে পন্য ক্রয় বিক্রয় করা জায়েজ আছে,সমস্যা নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 
,
★তবে কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা যেহেতু সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
তাই কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা জায়েজ হবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বাইক ক্রয় জায়েজ হবেনা। 

এক্ষেত্রে বৈধতার ছুরত হলোঃ-
আপনি তাকে বলবেন যে আপনি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে নিজে সেই গাড়ি ক্রয় করে আমার কাছে ৯০ হাজার বা ১ লক্ষ টাকায় সেই গাড়িটি নির্দিষ্ট সময়ে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার শর্তে বিক্রয় করবেন।

সেক্ষেত্রে এমতাবস্থায় সেই বাইক ক্রয় আপনার জন্য হালাল হবে। 

তবে নির্দিষ্ট সময়েই টাকা পরিশোধ করতে না পারলে,তথা নির্দিষ্ট মাস অতিক্রম করলে অথবা কিস্তি মিস করলে কোনো অতিরিক্ত লভ্যাংশ দেয়া যাবেনা,এটাও চুক্তির মধ্যে থাকতে হবে। 

উল্লেখ্য, যদি নির্দিষ্ট সময়েই টাকা পরিশোধ করতে না পারলে,তথা নির্দিষ্ট মাস অতিক্রম করলে অথবা কিস্তি মিস করলে কোনো অতিরিক্ত লভ্যাংশ দিতে হয়, সেক্ষেত্রে এভাবে বাইক ক্রয় আপনার জন্য হালাল হবেনা। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...