মুবারক শব্দের অর্থ: বরকতময়, কল্যাণময়, শুভ। ‘জুমা মোবারক’ অর্থ: শুভ জুমা দিবস। যারা এটি বলে তাদের উদ্দেশ্য এ দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা।
,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিংবা সাহাবীগণ জুমার দিন উপলক্ষে কোন ধরণের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।
,
সুতরাং এটি বলা ইসলামী স্কলারদের মতে দ্বীনের মধ্যে নতুনত্ব, তাই এটি বলা জায়েজ নেই।
,
সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে:
مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ
“যে ব্যক্তি এমন আমল করল যার ব্যাপারে আমার নির্দেশ নাই তা প্রত্যাখ্যাত।” (সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: বিচার-ফয়সালা)
(০২)
ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, জড়বস্তুর ছবি তোলা ও আঁকায় শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই। আর প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।
ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عنﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ : ( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ
আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি,তিনি বলেছেন,যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন প্রাণীর ছবি অঙ্কন করবে,কিয়ামত দিবসে উক্ত অঙ্কিত প্রাণীর ভিতর রূহ প্রদানের দায়িত্ব তাকে দেয়া হবে।কিন্তু কস্মিনকালেও তা তার জন্য সম্ভবপর হবে না।
{সহীহ বুখারী-৫৬১৮}
,
★সুতরাং প্রানীর ছবি ব্যাতিত গাছ পালা,পৃথিবী ইত্যাদীর ছবি আঁকা জায়েজ আছে।
কোনো সমস্যা নেই।
(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এহেনে কাজ করা,তা থেকেই ইনকাম করা সবই হারাম হবে।
,
তবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে একাজ করলে কোনো সমস্যা নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}