আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। নিম্ন বর্ণিত প্রশ্নের জবাব দেওয়া অনুরোধ রইলো।

আবু ওমামা বাহিলি রা: বলেন-নবীজি সা: এর কাছে দু’জন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হল, যাদের একজন আবেদ(অধিক ইবাদাতকারী) ও অন্যজন  আলেম। তখন নবীজী সা: বললেন-একজন আলেমের মর্যাদা একজন আবেদের উপর তেমন যেমন আমার মর্যাদা তোমরাদের মাঝের সবচে’ নিম্ন ব্যক্তির উপর।

প্রশ্ন ১: সাধারণ মুমিন ইবাদতকারী নামাজ, কুরআন তেলওয়াত, জিকির, রোজা, হজ এবং যাকাত আদায় করে যতটুকু সওয়াব লাভ করে, একজন হক্কানি আলেম কি অনুরূপ আমল করলে তার মর্যাদা বেশি হওয়ার জন্য বেশি সওয়াব লাভ করে?
নাকি একই ধরনের ইবাদতের ক্ষেত্রে সাধারণ মুমিন ইবাদতকারী সঠিকভাবে আমল করলে হক্কানি আলেমের মতো সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে?

প্রশ্ন ২: মহান আল্লাহর কাছে কবুল হওয়া এবং প্রিয় হবার শর্ত কি? আলেম হওয়া নাকি আল্লাহ ওয়ালা হওয়া?

প্রশ্ন ৩: কোন ব্যক্তি আলেম হলেই জান্নাত নিশ্চিত এভাবে কি বলা যাবে?

“যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করল, তিলাওয়াত করলো এবং মুখস্থ করল আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তাকে তার বংশধর হতে এমন দশজনকে সুপারিশ করার সুযোগ দান করবেন যাদের উপর জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছিল।”

প্রশ্ন ৪: কুরআনে হাফেজ তার পরিবারের দশজনকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে যাদের উপর জাহান্নাম অবধারিত। উপরোক্ত হাদিস কি সহীহ? যদি হাদিসটি সহীহ হয়ে থাকে তাহলে নিজ ব্যক্তিগত আমলের কি প্রয়োজন বা গুরুত্ব কোথায়? একজনের আমলের জন্য পরিবারের ১০ জন বেহেশতে চলে যাবে এটা কিভাবে সম্ভব। তাহলে কি পরিবারের ১ জন্য সৎ হবার জন্য পরিবারের ১০ জন ডাকাতকে মুক্তি দেওয়ার মতো? বিষয়টি স্পষ্ট করবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) একই ধরনের ইবাদতের ক্ষেত্রে সাধারণ মুমিন ইবাদতকারী সঠিকভাবে আমল করলে হক্কানি আলেমের মতো সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে।

(২) মহান আল্লাহর কাছে কবুল হওয়া এবং প্রিয় হবার আল্লাহ ওয়ালা হওয়া শর্ত। আর শরীয়তে আল্লাহ ওয়ালাকেই আলেম বলা হয়।এবং সেটাকেই ইলম বলা হয়, যেই ইলম মানুষকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে।

(৩) কোন ব্যক্তি আলেম হলেই জান্নাত নিশ্চিত এভাবে বলা যাবে না।

যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করল, তিলাওয়াত করলো এবং মুখস্থ করল আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তাকে তার বংশধর হতে এমন দশজনকে সুপারিশ করার সুযোগ দান করবেন যাদের উপর জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছিল।

(৪) কুরআনে হাফেজ তার পরিবারের দশজনকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে যাদের উপর জাহান্নাম অবধারিত।

হাফিজ সাহেবকে পুরোপুরি দ্বীন মেনে চললে তাকে এই সুযোগ দেয়া হবে। কোন হাফিজ কে এই সুযোগ দেয়া হবে, সেটাতো নিশ্চিত নয়। কাজেই পরিবারের সবাইকে আমল করতে হবে। তাছাড়া এই সুযোগ শেষ পর্যায়ে থাকবে। প্রাথমিক শাস্তি তো ভোগ করতে হবে। এবং সেই সময়টাও লক্ষকোটি বছরের হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...