ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) একই ধরনের ইবাদতের ক্ষেত্রে সাধারণ মুমিন ইবাদতকারী সঠিকভাবে আমল করলে হক্কানি আলেমের মতো সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে।
(২) মহান আল্লাহর কাছে কবুল হওয়া এবং প্রিয় হবার আল্লাহ ওয়ালা হওয়া শর্ত। আর শরীয়তে আল্লাহ ওয়ালাকেই আলেম বলা হয়।এবং সেটাকেই ইলম বলা হয়, যেই ইলম মানুষকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে।
(৩) কোন ব্যক্তি আলেম হলেই জান্নাত নিশ্চিত এভাবে বলা যাবে না।
যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করল, তিলাওয়াত করলো এবং মুখস্থ করল আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তাকে তার বংশধর হতে এমন দশজনকে সুপারিশ করার সুযোগ দান করবেন যাদের উপর জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছিল।
(৪) কুরআনে হাফেজ তার পরিবারের দশজনকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে যাদের উপর জাহান্নাম অবধারিত।
হাফিজ সাহেবকে পুরোপুরি দ্বীন মেনে চললে তাকে এই সুযোগ দেয়া হবে। কোন হাফিজ কে এই সুযোগ দেয়া হবে, সেটাতো নিশ্চিত নয়। কাজেই পরিবারের সবাইকে আমল করতে হবে। তাছাড়া এই সুযোগ শেষ পর্যায়ে থাকবে। প্রাথমিক শাস্তি তো ভোগ করতে হবে। এবং সেই সময়টাও লক্ষকোটি বছরের হবে।