আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ।

আমার বিয়ে হয়েছে কিছু মাস হলো।আমি আমার শশুরের সাথে শাশুড়ির থেকে কিছুটা ফ্রী মানে কথা বার্তায় আমার ভয়ভীতি কম লাগতো। এখন সমস্যা টা হলো,, আমার মনে হচ্ছে আমি আমার শশুরের সাথে কোনো খারাপ কাজ করেছি কি না। অন্তরঙ্গ মুহূর্ত  আমার চোখে ভাসে সেটা একসময় আমার কাছে সত্যি বলে মনে হয় আবার এটাও মনে হয় আমি কিছু করিনি। প্রায় ৬ টা মাস আমার মনের মধ্যে অশান্তি চলছে। একবার এটাকে ওয়াসওয়াসা ভেবে উড়িয়ে দিতে চাইলেও পরক্ষণেই মনে হয় আমি যদি কিছু নাই করি তাহলে এসব অশ্লীল দৃশ্য আমার চোখে ভাসবে কেন!! স্বামী কে হারানোর ভয়ে কি আমি এটাকে ওয়াসওয়াসা মনে করতেছি!!! কোনো আমলে আমার মন বসেনা শুধু মনে হয় আমার স্থান তো জাহান্নাম, আমল করে কি হবে!! আমি তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জিনা করে যাবো, আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন না। আমি ৭ মাসের প্রেগন্যান্ট। এই বাচ্চা কেও পর্যন্ত আমার অবৈধ মনে হয়। আমি জানিনা আমি কি করবো! কি করা উচিত আমার। ওয়াসওয়াসা মনে হলেও আবার ১০০% মনে হয় আমি খারাপ কাজ করেছি। আমি আমার স্বামী কে এসব বলেছি উনি এটাকে ওয়াসওয়াসা বলে। কিন্তু আমি মন থেকে মানতে পারছিনা। একবার ওয়াসওয়াসা মনে হয় আবার ১০০% সত্যি বলে মনে হয়। কয়েকটা মাস আমার মনের মধ্যে এসব অশান্তি চলছে। এটাকে কি ওয়াসওয়াসা বলে?? আমরতো অন্য বিষয়ে কোনো সন্দেহ হলে ওয়াসওয়াসা ভেবে চিন্তা করা বাদ দিয়ে দেই কিন্তু এই হুরমতে মুসাহারাত বিষয়টা আমার মন থেকে যাচ্ছে না। সারাদিন মাাথয় এসব চিন্তা চলে আমার। একবার ১০০% সত্যি বলে মনে হয় আবার মনে হয় এরকম খারাপ কাজ আমি কি করতে পারি!!! আমি এখন কি করবো বুঝতে পারছি না দয়া করে ওয়াসওয়াসা কোর্স করার লিংক না দিয়ে  কিছু বলুন আমার কি করা উচিত।

এখানে আমার কিছু প্রশ্ন আছে
১)এমতাবস্থায়  কি কোনো বিধান জারি হবে, যদি ঘটনা ঘটেও থাকে,, একদম স্পষ্ট না হওয়া পরযন্ত??

২)জারজ সন্তান কি অন্যান্য নেক সন্তানদের মত পিতামাতার সাদকায়ে জারিয়া হতে পারে??

৩)উক্ত ঘটনা যদি ওয়াসওয়াসা ভেবে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে আল্লাহ কি পাকড়াও করবে না?

৪)আল্লাহ তার সব বান্দাকে মাফ করে দিতে পরেন কেবল শিরক কারী ব্যতীত। এক্ষেত্রে আমার দ্বারা যদি হুরমত হয়ে থাকে কিন্তু আমি পুরোপুরি শিউর না হওয়াতে এভয়েড করলাম তাহলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি যে আমল করে গেলাম সব কি বিফলে যাবে?  আমার দুয়া কি আল্লাহ কবুল করবেন না?  আমাকে কি আল্লাহ মাফ করবেন না?

৫)ওয়াসওয়াসা না ভেবে যদি আমি আমার সংসার জীবনের ইতি টানি কিন্তু এটা যদি সত্যি না হয়,আমার চিন্তার ভুল হয় তাহলে এতে কি আমি গুনাহগার হবো?
দয়া করে আমাকে সব প্রশ্নের উত্তর দিবেন উস্তাদ
by (589,200 points)
প্রশ্ন করার পর আর ইউিট করা যাবে না।

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্রঃ
আপনি মনোবিজ্ঞানী ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।আপনার মাসআলা জাতীয় কোনো সমস্যা নেই।হ্যা, মানষিক সমস্যা রয়েছে।অতিদ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।জাযাকুমুল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...