আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
ago in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

কোনো খাবার নিয়ে যদি সন্দেহ হয় যে, এই খাবারে জাদুর কিছু আছে কিনা। এবং ওই খাবারটা না খেলেই নয় এমন ব্যাপার। আমি যদি বিসমিল্লাহ বলে এবং মনে মনে আল্লাহর নিকট দোয়া করি যে এই খাবারে যদি খারাপ কিছু থেকে থাকে যা আমার জন্য অকল্যাণ তুমি টা কল্যাণকর করে দাও বা খারাপ কিছু থেকে থাকলে টা নষ্ট করে দাও, আল্লহ আপনিই তো আমার জন্য যথেষ্ট। এই বলে খাই, তাহলে কি কোনো খারাপ কিছু থেকে থাকলেও টা আমার উপর প্রভাবিত হবে??

দ্রুত জানালে ভীষণ উপকৃত হবো।

জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
ago by (584,340 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রথমেই আমরা একটা মূলনীতি জেনে নেই,
রোগ ব্যধির নিজস্ব সংক্রামক কোনো যোগ্যতা ও ক্ষমতা নাই। রোগীর পাশে কেউ গেলেই যে, রোগ ব্যধি তার কাছে চলে যাবে, বিষয়টা মূলত এমন নয়, বরং যদি আল্লাহর হুকুম হয়, তাহলে রোগ সংক্রামক হতে পারে। যদি আল্লাহর হুকুম না হয়, তাহলে ঐ রোগ সংক্রামক হতে পারবে না। তবে কিছু রোগের মাঝে আল্লাহ তা’আলা সংক্রমণের নিয়ম বেধে দিয়েছেন, এই রোগ সংক্রমণ করে বসে। তাকে আল্লাহ পূর্ব থেকেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। তবে আল্লাহর ইচ্ছা হলে সংক্রমণ নাও ঘটতে পারে। অর্থাৎ সংক্রমণের এই ক্ষমতা রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নয়, এর পশ্চাতে আল্লাহর দেয়া ক্ষমতা এবং তার ইচ্ছার দখল থাকে। তবে ইসলাম প্রচলিত এসব সংক্রামক রোগে আক্রান্ত লোকদের নিকট যেতে নিষেধ করেছে বিশেষভাবে কুষ্ঠ রোগীর নিকট, এ কারণে যে, উক্ত রোগীর নিকটে গেলে আর তার আক্রান্ত হওয়ার খোদায়ী ফায়সালা হওয়ার কারণে সে আক্রান্ত হলে তার ধারণা হতে পারে যে, উক্ত রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ার কারণেই সে আক্রান্ত হয়েছে, এভাবে তার আক্বীদা নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তা যেন হতে না পারে, এজন্যই ইসলাম এরূপ বিধান দিয়েছে। তবে কেউ মজবুত আকীদার অধিকারী হলে, সে অনুরূপ রোগীর নিকট যেতে পারে। এমনিভাবে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত লোককেও সুস্থ এলাকার লোকদের নিকট যেতে নিষেধ করেছে। যাতে তা অন্য কারো আক্বীদা নষ্টের কারণ না ঘটে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/13905

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে দু'আ দুরুদ পড়ে উক্ত খাবার গ্রহণ করা যাবে যদি নিজের ঈমান মজবুত থাকে। তবে গ্রহণ না করাই উচিত ও উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...