(০১)
হ্যাঁ, উক্ত কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
সুরা আন'আমের ১৪৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قُلۡ لَّاۤ اَجِدُ فِیۡ مَاۤ اُوۡحِیَ اِلَیَّ مُحَرَّمًا عَلٰی طَاعِمٍ یَّطۡعَمُهٗۤ اِلَّاۤ اَنۡ یَّکُوۡنَ مَیۡتَۃً اَوۡ دَمًا مَّسۡفُوۡحًا اَوۡ لَحۡمَ خِنۡزِیۡرٍ فَاِنَّهٗ رِجۡسٌ اَوۡ فِسۡقًا اُهِلَّ لِغَیۡرِ اللّٰهِ بِهٖ ۚ فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَاِنَّ رَبَّکَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۴۵﴾
বল, ‘আমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়, তাতে আমি আহারকারীর উপর কোন হারাম পাই না, যা সে আহার করে। তবে যদি মৃত কিংবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শূকরের গোশ্ত হয়- কারণ, নিশ্চয় তা অপবিত্র কিংবা এমন অবৈধ যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য যবেহ করা হয়েছে। তবে যে ব্যক্তি নিরুপায় হয়ে অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়ে তা গ্রহণে বাধ্য হয়েছে, তাহলে নিশ্চয় তোমার রব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে অপবিত্র কাপড় তিনবার ধৌত করার পর পবিত্র হয়ে যাবে। ধৌত করার সময় ব্যবহৃত পানির ছিটা উক্ত কাপড়ে লাগলে কোনো অসুবিধা নেই। (আল মুহিতুল বুরহানি : ১/২২৩, হিন্দিয়া : ১/৪২ ফাতওয়া বিভাগ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত পানির ছিটা কাপড় ও শরীরের অন্য অংশে লাগলে সে অংশ গুলো নাপাক হয়ে যাবেনা।
,
তবে যদি দেখা যায় যে স্পষ্ট নাপাক বস্তুই পানির ছিটার সাথে শরীরে বা কাপড়ে লেগেছে,তাহলে নাপাক হয়ে যাবে।
,
এক দিরহামের কম লাগলে সেই কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে।
.
(০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
মৌলিকভাবে অযু ভঙ্গের কারণ ৭টি। যথা-
১. পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। যেমন বায়ু, পেশাব পায়খানা, পোকা ইত্যাদি। (হেদায়া-১/৭)
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)
২. রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)
أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)
প্রশ্নে উল্লেখিত কারন যেহেতু অযু ভঙ্গের কারন নয়,তাই এতে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
★সুতরাং অজু অবস্থায় শরীরে বাইরের কোন নাজাসাত লাগলে অজু ভেঙ্গে যাবেনা।
শুধু নাজাসাত দূর করে ফেলাটাই যথেষ্ট।