আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
468 views
in পবিত্রতা (Purity) by (61 points)
১. শরীরের কোন অংশ কেটে রক্ত গড়িয়ে কাপড়ে লাগলে সে কাপড় কি নাপাক হয়ে যাবে? যেহেতু প্রবাহিত রক্ত নাজাসাতে গালিজা।

২. শরীরের কোন অংশে নাজাসাত লাগলে সে অংশ ধোয়ার ক্ষেত্রে ধুতে থাকা পানির ছিটা অন্য অংশেও লাগে। যেমন কোন পাখির বিষ্ঠা মাথায় কিংবা কাঁধে পড়লে সেটা ধোয়ার ক্ষেত্রে সেই পানির ছিটা কাপড় ও শরীরের অন্য অংশে লাগে এতে কি সে অংশ গুলো নাপাক হয়ে যাবেনা?

৩. অজু অবস্থায় শরীরে বাইরের কোন নাজাসাত লাগলে অজু ভেঙ্গে যাবে? নাকি শুধু নাজাসাত দূর করে ফেলাটাই যথেষ্ট?

1 Answer

+1 vote
by (573,960 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হ্যাঁ, উক্ত কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।    
সুরা আন'আমের ১৪৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلۡ لَّاۤ اَجِدُ فِیۡ مَاۤ اُوۡحِیَ اِلَیَّ مُحَرَّمًا عَلٰی طَاعِمٍ یَّطۡعَمُهٗۤ اِلَّاۤ اَنۡ یَّکُوۡنَ مَیۡتَۃً اَوۡ دَمًا مَّسۡفُوۡحًا اَوۡ لَحۡمَ خِنۡزِیۡرٍ فَاِنَّهٗ رِجۡسٌ اَوۡ فِسۡقًا اُهِلَّ لِغَیۡرِ اللّٰهِ بِهٖ ۚ فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَاِنَّ رَبَّکَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۴۵﴾

বল, ‘আমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়, তাতে আমি আহারকারীর উপর কোন হারাম পাই না, যা সে আহার করে। তবে যদি মৃত কিংবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শূকরের গোশ্ত হয়- কারণ, নিশ্চয় তা অপবিত্র কিংবা এমন অবৈধ যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য যবেহ করা হয়েছে। তবে যে ব্যক্তি নিরুপায় হয়ে অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়ে তা গ্রহণে বাধ্য হয়েছে, তাহলে নিশ্চয় তোমার রব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 

(০২)
শরীয়তের বিধান মতে অপবিত্র কাপড় তিনবার ধৌত করার পর পবিত্র হয়ে যাবে। ধৌত করার সময় ব্যবহৃত পানির ছিটা উক্ত কাপড়ে লাগলে কোনো অসুবিধা নেই। (আল মুহিতুল বুরহানি : ১/২২৩, হিন্দিয়া : ১/৪২ ফাতওয়া বিভাগ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত পানির ছিটা কাপড় ও শরীরের অন্য অংশে লাগলে সে অংশ গুলো নাপাক হয়ে যাবেনা।
,
তবে যদি দেখা যায় যে স্পষ্ট নাপাক বস্তুই পানির ছিটার সাথে শরীরে বা কাপড়ে লেগেছে,তাহলে নাপাক হয়ে যাবে।
,
এক দিরহামের কম লাগলে সেই কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে।
.

(০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 

মৌলিকভাবে অযু ভঙ্গের কারণ ৭টি। যথা-

১. পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। যেমন বায়ু, পেশাব পায়খানা, পোকা ইত্যাদি। (হেদায়া-১/৭)

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ

শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

২.  রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)

أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ

আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)

বিস্তারিত জানুনঃ 

প্রশ্নে উল্লেখিত কারন যেহেতু অযু ভঙ্গের কারন নয়,তাই এতে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
★সুতরাং অজু অবস্থায় শরীরে বাইরের কোন নাজাসাত লাগলে অজু ভেঙ্গে যাবেনা। 
শুধু নাজাসাত দূর করে ফেলাটাই যথেষ্ট।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (0 points)
আসসালামুআলাইকুম জনাব, সাধারণত প্রস্রাবের  নাপাক কাপর ধোঁয়ার সময় পানির ছিটাতে স্পষ্ট নাপাকি দেখা যায় না।তাহলে কি  প্রস্রাবের নাপাক কাপর ধোঁয়ার পানির ছিটা অনিচ্ছাকৃত ভাবে আমার কাপর এ লাগলে কাপর নাপাক হবে?এ ধরনের পানির ছিটা থেকে বাচা কষ্ট সাধ্য হয়ে যায়।দয়া  করে উত্তর দিন এধরনের পানির ছিটা নিয়ে অনেক বিপদে আছি । 
by (13 points)

শরীয়তের বিধান মতে অপবিত্র কাপড় তিনবার ধৌত করার পর পবিত্র হয়ে যাবে। ধৌত করার সময় ব্যবহৃত পানির ছিটা উক্ত কাপড়ে লাগলে কোনো অসুবিধা নেই। (আল মুহিতুল বুরহানি : ১/২২৩, হিন্দিয়া : ১/৪২ ফাতওয়া বিভাগ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত পানির ছিটা কাপড় ও শরীরের অন্য অংশে লাগলে সে অংশ গুলো নাপাক হয়ে যাবেনা।
ভাই এই মাসয়ালা টা একটু বুঝিয়ে বলবেন কি? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...