আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম
ঝগড়ার সময় স্ত্রী হাসবেন্ড কে বলসে "আমি তোমার সংসার করবো না"।স্বামী বলসে" না করলে না করবা/করিও না।"স্ত্রী একদম ছাড়াছাড়ি হয়ে যাক /সংসার ই ভেংগে যাক /তালাক হয়ে যাক এই নিয়তে বলসে, "হ্যাঁ করবো না।"
স্বামীর নিয়ত ছিলো না।সে এম্নিতে ঝগড়ার সময় কথার কথা বলসে। এখানে কি তালাক হবে?
2. রাগের মাথায় হাসবেন্ড বলসে, "সংসার বাদ দাও"।স্ত্রী বলসে, "বাদ দিলাম"।এ কথা স্ত্রী যদি সংসার শেষ করার নিয়তে বলে।তাহলে কি তালাক হবে?
3.হাসবেন্ড বলসে সংসার করতে না চাইলে বলে দাও।ওয়াইফ বলসে চাই না বলে দিলাম।এতে তালাক হবে?
 হাসবেন্ড স্ত্রীকে  সজ্ঞানে তালাক নেয়ার অধিকার দেয় নাই কোনোদিন।কিন্তু এসব কথা দিয়ে কি অধিকার দেয়া বুঝাবে?
৪. স্ত্রী বলসে তুমি যে এই কথা বলসো এটা কোন নিয়তে বলস।হাসবেন্ড উত্তরে বলসে, "নিয়ত থাকলে তিন তালাক বলে দিয়ে চলে যেতাম।যদি নিয়ত থাকতো।"
এর দ্বারা কি তালাক হবে?

5.ঝগড়া হইতো আর তখন আমি ডিভোর্স চাইতাম।তালাক চাইতাম।কিন্তু উনি কখনো আমাকে দিয়ে দিসেন এমন বলেন নি।কিন্তু বলসে তোমার দেয়ার হলে তুমি দাও/তোমার যা ইচ্ছা করো। এখানে কি স্ত্রীকে অধিকার দেওয়া বুঝায়? কিন্তু কখনো স্বজ্ঞানে অধিকার দেননি এবং আমাকে অধিকার দিবেন না বলেছিলেন।
এসব কি তালাকের মজলিশ? মুযাকারায়ে তালাক?
এসব দিয়ে কি তালাক হবে?
অন্য বিষয়ে ঝগড়া হইতে হইতে তালাকের কথায় চলে আসতো আর কি।
আমি পড়সি যে কখনো কখনো কেনায়া বাক্য দিয়ে ও নিয়ত না থাকলে তালাক হয়ে যায়।সেটা কখন হয়?
জাজাকাল্লাহ।
দয়া করে উত্তর দিয়েন।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...