বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
প্রতিমাসের ইনকামের এত পার্সেন্ট সাদাকাহ করবো। এই বাক্য মুখে উচ্চারণের মাধ্যমে সাদাকাহ ওয়াজিব হবে না। আর হ্যা, উক্ত টাকা নিজের ইলম অর্জনের ব্যয় করা যাবে।
(২)
যদি কেউ দাড়াতে পারেন,তবে রুকু সেজদা করতে পারেন না,তবে উনি দাড়িয়েই নামায শুরু করবেন।অতঃপর দাড়িয়েই ইশারায় রুকু-সেজদা ও বৈঠক করে নামাযকে সমাপ্ত করবেন।এটা ইমাম যুফার রাহ সহ অন্যান্য তিনো মাযহাবের অভিমত।দারুল উলূম করাছির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত এটাই।তবে যদি কেউ দাড়িয়ে ইশারা করার পরিবর্তে বসে বসে ইশারা করে নামায পড়ে ফেলে তাহলে তার নামাযও ফাসেদ হবে না।বরং তার নামাযও হবে।যদিও সেটা অনুত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।
যদি কোনো ব্যক্তি রুকু সেজদায় যেতে পারে,কিন্তু রুকু সেজদা থেকে উঠতে না পারে।তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য প্রথম রাকাত দাড়িয়ে পড়ার পর পরবর্তী রা'কাত সমূহ বসে পড়ার অনুমোদন রয়েছে।
অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য চেয়ারে বসে নামায পড়ার চেয়ে মাঠিতে বসে নামায পড়াই শ্রেয়।
হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাতবারকাতুহুম তার সদ্য লেখা এ ফতওয়ায় চেয়ারে বসেনামায আদায় করার ক্ষতির দিকগুলো আলোচনাকরতে গিয়ে বলেন, ‘জমিনে বসে নামায আদায় করার শক্তি থাকা সত্ত্বেও চেয়ারে বসার যে প্রচলন দেখা যায় তাতে বিভিন্ন দিক থেকে আপত্তি রয়েছে।
(৩) রাস্তায় পর্দারত অবস্থায় গাইরে মাহরাম চাচা/স্যারের সাথে দেখা হয়ে গেলে, তাদেরকে সালাম এবং কেমন আছেন এতটুকুও জিজ্ঞাসা করা যাবে না।
(৪) যে মেয়েটা চেষ্টারত আল্লাহর হুকুমে বিয়ে হয়নি এখনো তাকে নিয়ে কেউ যদি বলে অমুকের ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তাই বিয়ে করছে না, যা সম্পূর্ণ বানোয়াট, এমন মানুষকে কঠিন কঠনতম শাস্তি দেয়াা হবে।।