ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) যারা নামাজ পড়ে বা পড়তে পারে তাদেরকে নামাযের দাওয়াত দেয়ার পাশাপাশি অন্যদেরকেও দাওয়াত দিতে হবে। তবে না দিলে গোনাহ হবে না।কিন্তু দেওয়া উচিৎ ও সওয়াবের কাজ।
(২) ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত নফল ইত্যাদি ইবাদতকে সম্মান করে কিন্তু ঐ সময় উক্ত আমলগুলো না করে বরং গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়, তাহলে যদিও ঈমানে আপাতত কোনো সমস্যা হচ্ছে না তবে আমল ত্যাগের কারণে অবশ্যই গোনাহ হবে।
(৩) ইসলাম এ বিষয়ে জোর দেয় যে,মানুষ তার জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত এমন কাজে ব্যয় করবে যাতে দুনিয়া ও আখেরাতের নিশ্চিত কল্যাণ রয়েছে।কমপক্ষে যেন দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো ক্ষতি না হয়।এ জন্যই কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,(মু'মিনুন-৩)
বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/673
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাজকে ঠিক রেখে কিছু শর্তসাপেক্ষে ক্রিকেট খেলার অনুমোদন থাকবে।
(৪)বান্দার হক নষ্ট করলে সাধারণত ইবাদাত কবুল হবে না। তবে আল্লাহ পাক চাইলে কবুল হবে। সে ইবাদতের সওয়াব পেতে পারে, আবার নাও পেতে পারে।
(৫) নেশা দূর হওয়ার পূর্বে নামায পড়া যাবে না।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنتُمْ سُكَارَىٰ حَتَّىٰ تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ
হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর (নামাযের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। (সূরা নবসা-৮২)
(৬)নেক আমল করে আবার গুনাহ করা বা প্রথম থেকেই গোনাহ করা হোক। তাদের রুহছিরে ফিরে বাহির করা হবে বলে হাদীসে এসেছে।
৭।নেক আমল করে আবার গুনাহ করলে সে কাফের হয়ে মরবে না।