আমরা দুইজন এমনি স্বামী -স্ত্রীর বিশ্বাস, ভালো থাকা নিয়ে আলোচনা করছিলাম।একে অপরকে বিশ্বাস করতে হয়,সম্মন থাকতে হয় তবেই না সম্পর্ক অটুট থাকে।মানে এই টাইপ আলোচনা আর কি।
**তো তখন সে বললো ওকে " তোমাকে ঘুড়ির মতো ছেড়ে দিলাম পান্ডে,তুমি আকাশে উড়ো যত খুশি বাট নাটাই আমার হাতে।(ঘুড়ি শব্দ ইউজ করছে কি না ১০০% শিউর না আর সে আদর করে পান্ডে ডাকে আমাকে)।মানে সে বলতে চাচ্ছে,আমি মুক্ত,উড়তে পারি,ঘুরতে পারি,সে আমাকে এই স্বাধীনতা দিয়ে রাখছে বাট নাটাই তার হাতে।মানে সে আমাকে চোখে চোখে রাখবে আর কি।বাট বিশ্বাস স্বাধীনতা আছে।তো এখানে "ছেড়ে দিলাম,উড়ো" এগুলা কি কোন সমস্যা হবে?আমাদের তো আল্লাহর রহমতে কোন ঝগড়া, কথা কথাকাটি বা কিছুই ছিলো না।এটা এমনি বললো অন্য উদ্দেশ্য।
** ইফতারের আগ মুহুর্তে স্বামী-স্ত্রী ফোনে দুষ্টিমি করতেছে।বার বার বলার পরও ফোন রাখে না স্বামী।বলে সবসময় তো।কথা বলতে চাস,আজ কি হলো?(হাসি)আজান দেওয়ার পর বলতেছে,আচ্ছা তোকে আজকের মতো ছেড়ে দিলাম।মানে ফোন রেখে দিলাম,ইফতারি করো এবার।
এগুলা তো কোান সমস্যা না তাই না?
**তাহলে আপনারা কেন বলেন এগুলা স্পষ্ট সরীহ বিচ্ছেদের পরিবর্তে বুঝায়?নিয়ত ছাড়া বললেও হয়ে যাবে।এটা কেমন কথা?কত জামাই-বউ ঝগড়া বা তর্কের মুহুর্তে বলো,যাও ছেড়ে দিলাম,যা খুশি করো।মানে সে বিরক্ত আর এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছে না।তাহলে এদিকে বিচ্ছেদ হয় কীভাবে?নিয়ত-ই তো নাই। আবার অনেকে তর্ক করার পর হাসতে হাসতে জামাই বলে,যাও তোমাকে ছেড়ে দিলাম,তুমি জিতছো।
এগুলায় তো নিয়ত নাই,কিছুই নাই।উদ্দেশ্য থাকে একটা,এদিকে আরেকটা হয় কীভাবে?