আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আমরা দুইজন এমনি স্বামী -স্ত্রীর বিশ্বাস, ভালো থাকা নিয়ে আলোচনা করছিলাম।একে অপরকে বিশ্বাস করতে হয়,সম্মন থাকতে হয় তবেই না সম্পর্ক অটুট থাকে।মানে এই টাইপ আলোচনা আর কি।

**তো তখন সে বললো ওকে " তোমাকে ঘুড়ির মতো ছেড়ে দিলাম পান্ডে,তুমি আকাশে উড়ো যত খুশি বাট নাটাই আমার হাতে।(ঘুড়ি শব্দ ইউজ করছে কি না ১০০% শিউর না আর সে আদর করে পান্ডে ডাকে আমাকে)।মানে সে বলতে চাচ্ছে,আমি মুক্ত,উড়তে পারি,ঘুরতে পারি,সে আমাকে এই স্বাধীনতা দিয়ে রাখছে বাট নাটাই তার হাতে।মানে সে আমাকে চোখে চোখে রাখবে আর কি।বাট বিশ্বাস স্বাধীনতা আছে।তো এখানে "ছেড়ে দিলাম,উড়ো" এগুলা কি কোন সমস্যা হবে?আমাদের তো আল্লাহর রহমতে কোন ঝগড়া, কথা কথাকাটি বা কিছুই ছিলো না।এটা এমনি বললো অন্য উদ্দেশ্য।
** ইফতারের আগ মুহুর্তে স্বামী-স্ত্রী ফোনে দুষ্টিমি করতেছে।বার বার বলার পরও ফোন রাখে না স্বামী।বলে সবসময় তো।কথা বলতে চাস,আজ কি হলো?(হাসি)আজান দেওয়ার পর বলতেছে,আচ্ছা তোকে আজকের মতো ছেড়ে দিলাম।মানে ফোন রেখে দিলাম,ইফতারি করো এবার।

এগুলা তো কোান সমস্যা না তাই না?

**তাহলে আপনারা কেন বলেন এগুলা স্পষ্ট সরীহ বিচ্ছেদের পরিবর্তে বুঝায়?নিয়ত ছাড়া বললেও হয়ে যাবে।এটা কেমন কথা?কত জামাই-বউ ঝগড়া বা তর্কের মুহুর্তে বলো,যাও ছেড়ে দিলাম,যা খুশি করো।মানে সে বিরক্ত আর এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছে না।তাহলে এদিকে বিচ্ছেদ হয় কীভাবে?নিয়ত-ই তো নাই। আবার অনেকে তর্ক করার পর হাসতে হাসতে জামাই বলে,যাও তোমাকে ছেড়ে দিলাম,তুমি জিতছো।

এগুলায় তো নিয়ত নাই,কিছুই নাই।উদ্দেশ্য থাকে একটা,এদিকে আরেকটা হয় কীভাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...