আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
আমি বর্তমানে বিয়ে করতে চাইছি।সেক্ষেত্রে বায়োডটা তৈরির ক্ষেত্রে সেখানে কোন শারীরিক ও মানসিক রোগ আছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। আবার সেখানে আল্লাহর নামে শপথও করানো হয়, যাতে মিথ্যা তথ্য দেওয়া না হয়।

আমার সমস্যা হল,

আমার জন্মগতভাবে একটি কিডনি, এজন্য আমি শুধু প্রেশারের ঔষধ খাই।ডাক্তার বলেছেন এটা তেমন সমস্যা নয়। যদিও সারাজীবন এই ঔষধ খেতে হবে, কিন্তু এটা ব্যক্তিগত ও বৈবাহিক স্বাভাবিক  জীবনে কোন খারাপ প্রভাব ফেলবে না।

আরেকটি বিষয় হল, আমি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে আজ প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ঘুমের ঔষধ ও মাথা ঠান্ডার ঔষধ সেবন করি। আমি কিন্তু এভাবেই একজন স্বাভাবিক মানুষের মত জীবন কাটাচ্ছি, আলহামদুলিল্লাহ।
এখন আমার প্রশ্ন হল, আমি যদি বিয়ের বায়োডাটায় বলি যে, আমার কোন শারীরিক ও মানসিক রোগ নেই যেহেতু এগুলো আমার স্বাভাবিক জীবনে কোন বড় ধরনের প্রভাব ফেলছেনা, তাহলে কি আমি গুনাহগার হব? আবার যদি বলি শরীরিক ও মানষিক রোগ আছে, তহলেতো পাত্রীপক্ষ আগাতে চাইবে না।এটাই স্বাভাবিক।
এই অবস্থায় আমার করনীয় কি?

বি:দ্র: আমার নামটা অবশ্যই গোপন রাখবেন, প্লিজ।

1 Answer

0 votes
by (565,350 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/64966 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
বিবাহের পূর্ব পাত্র পাত্রীর এমন রোগ যাহা তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে একে অপরের হক আদায়ে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,বা যার চিকিৎসা খুবই কঠিন। 
তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত রোগ গোপন করা যাবেনা।
এক্ষেত্রে রোগটি গোপন করলে এটি ধোকা দেওয়া হবে,যাহা জায়েজ নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।
(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}


★আর যদি রোগটি হালকা হয়,সেক্ষেত্রে সেই রোগ গোপন করা যাবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত রোগ যেহেতু আপনার নিয়মিত জীবনযাপনে কোনো প্রভাব রাখে না এবং নিয়মিত চিকিৎসাও চলছে,এক্ষেত্রে আপনার যদি প্রবল ধারনা হয় যে এই রোগের কারনে স্ত্রীর হক আদায়ে কোনো ত্রুটি হবেনা, সেক্ষেত্রে রোগটি গোপন করতে পারবেন।

(তবে পাত্রী পক্ষ যদি কাহারো থেকে জেনে স্পষ্ট আকারে উক্ত রোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে,সেক্ষেত্রে তখন রোগটি গোপন করা যাবেনা।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...