ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়
গুলোতে প্রশ্নে উল্লেখিত র্যাগিং এর নামে যাহা
কিছু করা হয়,সবই জুলুমের
অন্তর্ভুক্ত, বিধায় তাহা
জায়েজ নেই। এতে জুলুমের গুনাহ হবে। https://ifatwa.info/10339/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
আগে সালাম দেওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ
أَبي أُمَامَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى
الله عليه وسلم: إِنَّ أوْلَى النَّاسِ بِاللهِ مَنْ بَدَأَهُمْ بالسَّلاَمِ رواه
أَبُو داود بإسنادٍ جيدٍ، ورواه الترمذي بنحوه وقال: حديثٌ حسن
আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে
বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী
মানুষ সেই, যে প্রথমে সালাম করে।’’ (আবূ দাঊদ
সহীহ সনদ যোগে, তিরমিযীও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ও বলেছেন
হাদীসটি হাসান। এটি পরবর্তীতে ৮৬৩ নম্বরে উল্লেখ করা হয়েছে।) (আবূ দাউদ ৫১৯৭, তিরমিযী ২৬৯৪,
আহমাদ ২১৬৮৮, ২১৭৭৬, ২১৮১৪)
وَعَنْ
أَبي أُمَامَةَ صُدَيِّ بنِ عَجلاَنَ البَاهِلِي رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ
رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « إنَّ أَوْلى النَّاسِ
بِاللهِ مَنْ بَدَأهُمْ بِالسَّلامِ ». رواه أَبُو داود بإسنادٍ جيدٍ
.
ورواه
الترمذي عَن أَبي أُمَامَةَ رضي الله عنه، قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه
وسلم، الرَّجُلاَنِ يَلْتَقِيَانِ أَيُّهُمَا يَبْدَأُ بِالسَّلاَمِ ؟ قَالَ: «
أَوْلاَهُمَا بِاللهِ تَعَالَى . قَالَ الترمذي: «هَذَا حديث حسن
আবূ উমামাহ সুদাই ইবনে আজলান বাহেলী
রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আল্লাহর নিকটবর্তী সেই, যে লোকদেরকে প্রথমে সালাম করে।’’ (আবূ দাঊদ উত্তম সূত্রে)
তিরমিযীও আবূ উমামাহ কর্তৃক বর্ণনা
করেছেন, তিনি বলেন, জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! দু’জনের সাক্ষাৎকালে তাদের মধ্যে কে প্রথমে
সালাম দেবে?’ তিনি বললেন, ‘‘যে মহান আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে।’’ (তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান)
(তিরমিযী ২৬৯৪, আবূ দাউদ ৫১৯৭,
আহমাদ ২১৬৮৮)
আবু দাউদ শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ
أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ،
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ إِذَا لَقِيَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيُسَلِّمْ
عَلَيْهِ فَإِنْ حَالَتْ بَيْنَهُمَا شَجَرَةٌ أَوْ جِدَارٌ أَوْ حَجَرٌ ثُمَّ
لَقِيَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ أَيْضًا . قَالَ مُعَاوِيَةُ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ
الْوَهَّابِ بْنُ بُخْتٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ سَوَاءً
.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করে, তখন সে যেন তাকে সালাম দেয়। অতঃপর দু’জনের মাঝে যদি গাছ, দেয়াল বা পাথর আড়াল হয়ে যায় এবং তারপর আবার সাক্ষাত হয়, তাহলেও যেন তাকে সালাম দেয়। [৫১৯৮]
الْبَادِئُ
بِالسَّلَامِ بَرِيءٌ مِنَ الْكِبْرِ
যে আগে সালাম দেয় সে অহংকার থকে মুক্ত।
(শুয়াবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৮৪০৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. সুন্নাত পদ্ধতি হলো,
কারো সালামের অপেক্ষা
না করে নিজেই আগে সালাম দেওয়া। সুতরাং ম্যানার শিখানোর নামে জোর পূর্বক কারো থেকে
সালাম নেওয়া জায়েয হবে না।
২. ফেতনার আশংকা থাকলে গায়রে মাহরাম মেয়েদেরকে সালাম দেওয়াই
জায়েয নেই। কারণ, ইমাম নববী রহ. বলেন,
وإن كانت أجنبية يخاف الافتتان بها لم يسلم الرجل عليها
، ولو سلم لم يجز لها رد الجواب ، ولم تسلم هي عليه ابتداء ، فإن سلمت لم تستحق
جواباً
যদি পরনারী এমন হয় যে ,ফিতনার আশঙ্কা আছে তাহলে পুরুষ তাকে সালাম দিবে না। যদি সে সালাম
দিয়ে দেয় তাহলে মহিলা উত্তর দিবে না। আর নারী পরপুরুষকে আগে সালাম দিবে না। যদি সে
সালাম দিয়ে দেয় তাহলে সে উত্তর পাওয়ার উপযুক্ত হবে না। (আলাযকার ৪০৭)
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/6207/
ফিতনার আশঙ্কা না থাকলেও বিনা প্রয়োজনে
গাইরে মাহরাম মহিলাকে সালাম দেওয়া ঠিক নয়। বিশেষ প্রয়োজন বশত হলে সেটি মুবাহ।
৩. জ্বী এতে গুনাহ হবে না। তবে মুসলিম হিসেবে স্বেচ্ছায়
অপর মুসলিমকে সালাম দেওয়া সুন্নাহ। সেক্ষেত্রে অপরের সালামের অপেক্ষায় না থেকে নিজের
থেকে আগে সালাম দেওয়া উচিত।