বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
হাদিস শরীফে এসেছে-
قَالَتْ
فَلَمَّا حَلَلْتُ ذَكَرْتُ لَهُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ وَأَبَا
جَهْمٍ خَطَبَانِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَّا
أَبُو جَهْمٍ فَلاَ يَضَعُ عَصَاهُ عَنْ عَاتَقِهِ وَأَمَّا مُعَاوِيَةُ
فَصُعْلُوكٌ لاَ مَالَ لَهُ انْكِحِي أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ " . فَكَرِهْتُهُ
ثُمَّ قَالَ " انْكِحِي أُسَامَةَ " . فَنَكَحْتُهُ فَجَعَلَ اللَّهُ
فِيهِ خَيْرًا وَاغْتَبَطْتُ بِهِ .
ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
যখন আমার ইদ্দত পূর্ণ হল তখন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কে জানানাম যে, মুআবিয়া ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) ও আবূ জাহম (রাঃ) আমাকে বিবাহের
পায়গাম পাঠিয়েছেন। তখন রাসুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আবূ জাহাম
এমন লোক যে তার কাঁধ থেকে লাঠি নামিয়ে রাখে না। আর মুআবিয়া তো কপর্দকহীন গরীব মানুষ।
তুমি উসামা ইবনু যায়িদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হও। কিন্তু আমি তাঁকে পছন্দ করলাম
না। এরপর তিনি আবার বললেন, তুমি উসামাকে বিয়ে কর। তখন আমি তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ
হলাম। আল্লাহ এতে (তার ঘরে) আমাকে বিরাট কল্যাণ দান করলেন। আর আমি ঈর্ষার পাত্রে পরিণত
হলাম। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৫৬৩
ধোঁকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে
ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن
أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ
عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সা. বলেন- যে ব্যক্তি
আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং যে কাউকে ধোঁকা দিলো সেও আমাদের
অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১৪৬)
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن
أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ যে কাউকে ধোঁকা দিলো সে
আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১৪৭)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ে এক দুই দিনের জন্য নয়। তাই
বিয়ের ক্ষেত্রে খুব চিন্তা ভাবনা ও ইস্তেখারাহ করে অগ্রসর হওয়া উচিত। এক পক্ষ আরেক
পক্ষকে ধোঁকা দেওয়া ঠিক নয়। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আগের বিয়ে ও ডিভোর্সের কথা জানিয়েই
বিয়েতে অগ্রসর হলে ভালো হয়। অন্যথায় বিয়ের পর অনেক বড় ঝামেলা হওয়ার সম্ভবনা থাকে।