জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৭)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
উক্ত বোনের পরিবার আগের সেই বিবাহের কথা গোপন করে বোনকে নতুন বিবাহ দিলে তারা দেড়িতে হলেও কোনো ভাবে বিষয়টি জেনে যাবেই।
তারা যদি বিবাহের পর বিষয়টি জানে,তাহলে খুবই মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
বিবাহের পর আবারো বিচ্ছেদের সম্ভাবনা হতে পারে।
যাহা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
এমনটি হলে পরবর্তীতে তার যে দুইবার বিবাহ হয়েছিলো,এটি আবার ৩য় বিবাহের ক্ষেত্রে পরবর্তী পাত্রদেরকে বলতে হবে।
★উক্ত বোনের পরিবার যদি বোনের আগের সেই বিবাহের কথা গোপন করে নতুন বিবাহ দেয়,এক্ষেত্রে তারা গুনাহগার হবে। পাত্রকে ধোকা দেয়ার গুনাহ হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহের কথা জানাতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কারন হিকমতের সাথে বলা যাবে। এভাবে বলা যায় যে ছেলের পরিবার যৌতুক এর আবেদন করায় সংসার টিকেনি,বিবিধ।
★উল্লেখ্য, ১ম বিবাহে যদি স্বামী সেই বোনকে তালাক দিয়ে থাকে,অথবা স্বামী যদি সেই বোনকে তালাকের অধিকার দিয়ে থাকে,আর সেই অধিকার বলে উক্ত বোন নিজের নফসের উপর তালাক গ্রহন করে থাকে অথবা নিজেকে নিকে তালাক দিয়ে থাকে,তবেই কেবল আগের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলে গন্য হবে।
অন্যথায় আগের তালাক কার্যকর হবেনা।
বোনটি এখনো আগের স্বামীর বৈধ স্ত্রী হিসেবেই আছেন।
তার নতুন করে বিবাহ বৈধ হবেনা।