আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
closed by
আস্সালামুআলাইকুম,

আমি একজন ২২ বছর বয়সী বোন!

আল্লাহর রহমতে আমি আগে অনেক ভালোভাবে এবং অনেক ধৈর্য্য নিয়ে খুব পড়াশুনা করতাম, মিনিমাম ১০ ঘন্টা, আমার বাসায় এক দূর সম্পর্কের নানী ও আরো কিছু মহিলা সব সময় আমার প্রশংশা করতো, আর বলতো ইশ আমার ছেলেটা /আমার মেয়েটাও যদি এমন হতো, ইশ তুমি এতো পড় ? এতো ধৈর্য্য কিভাবে ? এরকম যখনি আসতো বলতো,,

কিন্তু হুজুর এখন আমার পড়া থেকে সম্পূর্ণ মন উঠে গেছে কিছুতেই পড়তে পারিনা, পড়তে ভালোলাগেনা পড়তে বসলেই অলস লাগে,আমার কি এগুলো বদ নজরের কারণে হচ্ছে !? আমি বুঝতে পারছি এই সময়ে পড়াটা আমার জন্য কতটা জরুরি কিন্তু তবুও কিছুতেই পড়তে শিখতে পারছিনা কোনো আগ্রহ পাইনা , দয়াকরে আমাকে একটা সমাধান দিন।

 জাজাকাল্লাহু খাইরান।
closed

1 Answer

+1 vote
by (59,820 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/12071/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

বদনজর কাকে বলে?

চক্ষু লাগা বা বদনজর লাগার অর্থ হলো, চাক্ষুষকারীর কোনো জিনিষ পছন্দ হয়ে যাওয়া। অতঃপর প্রদর্শনকারী থেকে বিষ বের হয়ে প্রদর্শিত ব্যক্তির নিকট চলে যায়। আল্লাহ তা'আলা উনার রাসূল সা. কে হাসিদের হাসাদ থেকে পানাহ চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে। (সূরা ফালাক-৫)

বদনজরকারীর চক্ষু হিংসুকের মধ্যে শামিল। সুতরাং হিংসুক শব্দটা ব্যাপক। যার মধ্যে বদনজরকারীর চক্ষুও শামীল। হিংসুক থেকে পানাহ চাওয়া মানে বদনজর থেকেও পানাহ চাওয়া।


বদনজর জিনিষটা কি?

বদনজর হলো, এক প্রকার বিষ যা হিংসুক এবং বদনজরকারীর চক্ষু থেকে বের হয়ে বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তির উপরে গিয়ে পড়ে। কখনো আক্রান্ত করে কখনো করে না। কখনো কখনো বদনজরের বিষ বদনজর কারীর দিকেও ফিরে আসে। (যা'দুল মা'আদ-দ্রষ্টব্য)


রাসূলুল্লাহ সা. থেকে বদনজর সংক্রান্ত হাদীস বর্ণিত রয়েছে-

হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن عائشة رضي الله عنها قالت : " كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يأمرني أن أسترقي من العين "

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চোখলাগা হতে (মুক্ত হওয়ার জন্য) ঝাড়ফুঁক করার আদেশ করতেন। (সহীহ মুসলিম-২১৯৫)


হাদীস শরীফে এসেছে-

عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " العين حق ولو كان شيء سابق القدر لسبقته العين ، وإذا استغسلتم فاغسلوا "

ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভাগ্যকে কোন জিনিস অতিক্রম করতে সমর্থ হলে কু-দৃষ্টিই তা অতিক্রম করতে পারত। যদি এ প্রসঙ্গে কেউ তোমাদেরকে গোসল করাতে চায় তাহলে তোমরা তাতে সম্মত হও। (মুসলিম-২১৮৮)


আসমা (রাঃ) বললেন,

قالت أسماء يا رسول الله إن بني جعفرتصيبهم العين، فأسترقي لهم قال: «نعم، فلو كان شيء سابق القدر، سبقته العين

 হে আল্লাহর রাসূল! জাফরের সন্তানদের বদনজর লেগেছে, আপনি তাদের ঝাড়ফুঁক করুন। তিনি বলেনঃ আচ্ছা। যদি কোন কিছু তাকদীরকে পরাভূত করতে পারতো, তবে বদনজরই তাকে পরাভূত করতো। (সুনানু ইবনু মা'জা-৩৫১০)


কুরআন সুন্নাহর আলোকে বদনজর অকাট্যভাবে সত্য। বদনজরের সত্যতা প্রমাণিত রয়েছে। যদি কেউ বদনজরে আক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে তখন বদনজরকারীকে অজু করতে বলা হবে, উনার অজুতে ব্যবহৃত পানি দ্বারা বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজ সারা শরীরে ঢেলে দিবে। সূরা নাস ও ফালাক পড়বে। বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াত করবে।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2628  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


আপনি সকাল-সন্ধ্যা সূরা নাস ও ফালাক পাঠ করবেন। নতুন করে পড়ার রুটিন করে আবার পড়া শুরু করে দিবেন। এর উপর অবিচল থাকবেন। আল্লাহর কাছে দুআ করতে থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...