ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীস শরীফে এসেছে.....
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।(আবু-দাউদ-৩৫১২) (ইমদাদুল ফাতাওয়া,৪/২৬৬ দ্রষ্টব্য)
সাদৃশ্য গ্রহণ তিন ভাবে হতে পারে।
(১)ফিতরী তথা জন্মগত বিষয়ে সাদৃশ্য গ্রহণ। এটা হারাম হবে না।
(২)পদ্ধতির অনুসরণ।যেমন তারা যেভাবে খাবার গ্রহণ করে বা হাটাচলা করে,তাদের এগুলোর অনুসরণ।এগুলো হারাম হবে তখন,যদি পূর্ব থেকেই মুসলমানদের আলাদা কোনো পদ্ধতি থাকে।
(৩)কাফিরদের ধর্মীয় বিষয়ের অনুসরণ। এটা সর্বাবস্থায় হারাম। (ইমদাদুল আহকাম-১/২৮৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্যের জন্য নয় বরং শুধু সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বাড়ীতে ক্রিসমাস ট্রি রাখা যাবে।
(২) বিয়ে করার আর্থিক সামর্থ্য নাই,কিন্তু যদি এরকম কেউ বিয়ে করে ফেলে, তাহলে তার বিয়ে শুদ্ধ হবে।
(৩) নিয়মিত ফরজ নামাজ আদায়কারী কোনো ব্যাক্তির যদি অনেকদিন পরপর হঠাৎ ১/২ দিন ফজরের সময়ে ঘুম না ভাঙ্গে, এবং ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সকল প্রকার প্রস্তুতি তার থাকে, তাহলে তার গোনাহ হবে না।
(৪)মা পর্দা করে না৷ এক্ষেত্রে বেশী বলতে গেলে মায়ের ইমান ধ্বংস কারী কুফরী বাক্য বলার সম্ভাবনা থাকে। মায়ের ইমান বাচানোর জন্য যদি বড় সন্তান কিছুদিন পর্দার দাওয়াত দেওয়ার পর চুপ করে যায়, তাহলে সে দাইয়ুস হবে না। সে তার মায়ের জন্য দু'আ করবে। এবং সর্বদা অপেক্ষায় থাকবে যে, কিভাবে হিকমাহর সাথে মাকে হিদায়তের রাস্তায় নিয়ে আসা যায়, আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না (সূরা বাকারা-২৮৬)