ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্পর্কিত সর্ববৃহৎ ফাতাওয়া গ্রন্থ, 'আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যায়' বর্ণিত রয়েছে,
وَلَوْ حَدَّثَ نَفْسَهُ أَنَّهُ يُطَلِّقُ زَوْجَتَهُ، أَوْ يُنْذِرُ لِلَّهِ تَعَالَى شَيْئًا، وَلَمْ يَنْطِقْ بِذَلِكَ، لَمْ يَقَعْ طَلاَقُهُ، وَلَمْ يَصِحَّ نَذْرُهُ لِقَوْل النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لأُِمَّتِي عَمَّا وَسْوَسَتْ - أَوْ حَدَّثَتْ - بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَل بِهِ أَوْ تَكَلَّمْ. وَقَال قَتَادَةُ بَعْدَ أَنْ رَوَى الْحَدِيثَ: إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِهِ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ. وَقَال عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ: لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوَسِ. وَعَلَّقَ ابْنُ حَجَرٍ عَلَى هَذَا الْقَوْل شَارِحًا لَهُ: أَيْ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ؛ لأَِنَّ الْوَسْوَسَةَ حَدِيثُ النَّفْسِ، وَلاَ مُؤَاخَذَةَ بِمَا يَقَعُ فِي النَّفْسِ -
যদি কেউ মনে মনে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়, বা মনে মনে কোনো নযর করে,এবং এ নিয়ে কোনো কথা মুখ দ্বারা উচ্ছারণ না করে,তাহলে তালাক সাব্যস্ত হবে না।তার নযরও বিশুদ্ধ হবে না।যেমন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসাকে ক্ষমা করে দেবেন,এবং মনের কথাকেও ক্ষমা করে দেবেন,যতক্ষণ না আমলে পরিণত করছে বা মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে বলছে।কাতাদাহ রাহ উক্ত হাদীসকে বর্ণনার পর বলেন,মনে মনে তালাক দিলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।উকবাহ ইবনে আমির রাহ মনে করেন,ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত লোকের তালাক পতিত হবে না।ইবনে হাজর রাহ উক্ত কথার ব্যখ্যা করে আরেকটু বাড়িয়ে বলেন,তালাক পতিত হবে না।কেননা ওয়াসওয়াসা হল,মনের কথা।আর মনের কথা দ্বারা তালাক পতিত হয় না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাহ-৪৩/১৪৮)
ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3318
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে মনে হচ্ছে যে, আপনি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত আছেন। সুতরাং আপনার উচিৎ যে, আপনি ওয়াসওয়াসা কোর্সটি করে নিবেন। এবং আপনার সাংসারিক জীবনে কোনো সমস্যা হবে না।