আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (4 points)
edited by
আমি মার্কেটিং, রাইটিং, প্রোডাক্টিভিটি ইত্যাদি সফটওয়্যারের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাই। আমি হালাল সফটওয়্যার এবং যে সফটওয়্যারে নারীর ছবি বা গান নেই সেগুলো প্রমোট করতে আগ্রহী। তবে এই সফটওয়্যার বিক্রি হওয়া প্ল্যাটফর্মে অন্যান্য সফটওয়্যারও রয়েছে যার প্রোডাক্ট লিস্টিংয়ে নারীর ছবি রয়েছে। এছাড়াও সফটওয়্যারের নিজস্ব অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে টিউটোরিয়াল থাকতে পারে যাতে গান থাকতে পারে, যদিও আসল সফটওয়্যারে এগুলো থাকা উচিত নয়। এখন যদি আমি সফটওয়্যার রিকমেন্ড করি এবং কেউ তা কিনে, আমি কমিশন পাই। আমি এমন সফটওয়্যার select করার চেষ্টা করব যাতে গান বা নারী না থাকে। কিন্তু যদি কেউ প্ল্যাটফর্মে গিয়ে হারাম জিনিস দেখে তাহলে কি আমি গুনাহগার হব?for example যদি আমি ইউটিউবে কাউকে হালাল ভিডিও রিকমেন্ড করি কিন্তু তারা নিজে থেকেই হারাম কনটেন্ট দেখে তাহলে কি আমি তাদের গুনাহের জন্য দায়ী হব এবং এটা কি গুনাহে সহায়তা করা হচ্ছে? আমার আয় কি হালাল? এই সফটওয়্যার বিক্রি হওয়া প্ল্যাটফর্ম (appsumo.com)

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা দিয়েছেন,
ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা-মায়েদা-২)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা- 
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয  হিসেবে বিবেচিত হবে। 
(খ)যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ  হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/92143


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অর্থাৎ, ইউটিউবে কাউকে যদি আপনি হালাল ভিডিও রিকমেন্ড করেন, কিন্তু তারা নিজে থেকেই হারাম কনটেন্ট দেখে নেয়, তাহলে তাদের গুনাহের জন্য আপনি দায়ী হবেন না এবং এটা গুনাহে সহায়তা করাও হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...