আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
এক বোনের পক্ষ থেকে -
আসসালামু আলাইকুম
ইদানীং বেশির ভাগ সময়ই এলোমেলো সপ্ন দেখি।সপ্ন গুলো ফজরের পর ই হয়।

আমি অচেনা একটা জায়গায় গিয়েছি। যেখানে একটা জঙ্গল আছে,যেখানে একজন ভয়ের কেউ আছে।যে মানুষকে মেরে ফেলে।

তবুও আমি সেখানে যাই ছোট একটা বাচ্চা নিয়ে।

যাওয়ার পর দেখতে পারি, যেটা সপ্নে এমন বুঝাইছে সেটা জীন।

তার পুরো শরীর আগুনে ঝলসানো।
আর হাত পা শিকলো বাধা।
সে মুখে অদ্ভুত শব্দ করতে থাকে।

কিন্তু আমি তাতে ভয় পাইনা।সেখান থেকে চলে আসি।

এমন স্বপ্ন অনেক আসে, এবং এতে শরীর ও খারাপ হয়ে যায়।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

উক্ত বোনের স্বপ্ন ভয়ানক স্বপ্ন। 
উক্ত বোন শয়তান ও তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আশ্রয় চাইবে এবং তিন বার থুতু ফেলবে। উপরন্তু তা কাউকে বলবে না।

আরো জানুনঃ- 

বোনটির প্রতি পরামর্শঃ-
সর্বদা পবিত্র বিছানায় ঘুমাবেন।
আয়াতুল কুরসি অথবা সূরা আরাফ, সূরা ইউনুস, এগুলোর সাথে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়বেন এবং এ থেকে হেফাজতের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।

বিশেষতঃ যে দুআটি রাসূলুল্লাহ ﷺ  থেকে সাব্যস্ত হয়েছে:
اللَّهُمَّ ربَّ النَّاسِ، أَذْهِب الْبَأسَ، واشْفِ، أَنْتَ الشَّافي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفاءً لاَ يُغَادِرُ سقَماً

(অর্থ- হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি কষ্ট দূর করে দিন ও আরোগ্য দান করুন। (যেহেতু) আপনিই রোগ আরোগ্যকারী। আপনার আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। আপনি এমনভাবে রোগ নিরাময় করে দিন যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।)

জিব্রাইল আ. নবী ﷺ-কে যে দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছেন সেটাও পড়া যেতে পারে। সে দুআটি হচ্ছে-
بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ , مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ أَوْ حَاسِدٍ , اللَّهُ يَشْفِيكَ بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ

(অর্থ- আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। সকল কষ্টদায়ক বিষয় থেকে। প্রত্যেক আত্মা ও ঈর্ষাপরায়ণ চক্ষুর অনিষ্ট থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য করুন। আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি।)
এই দোয়াটি তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার পড়ে হাতে ফুঁ দিবেন।
তারপর সারা শরীরে মালিশ করে দিবেন।
রাতে ঘুমানোর আগেও এই কাজ করবেন।
অযু করে পবিত্র অবস্থায় পবিত্র বিছানায় ঘুমাবেন।
বিছানা অপবিত্র থাকলে সেটা পবিত্র করে নিবেন।  
এরপর আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে ঘুমিয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...