উক্ত বোন শয়তান ও তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আশ্রয় চাইবে এবং তিন বার থুতু ফেলবে। উপরন্তু তা কাউকে বলবে না।
আয়াতুল কুরসি অথবা সূরা আরাফ, সূরা ইউনুস, এগুলোর সাথে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়বেন এবং এ থেকে হেফাজতের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।
বিশেষতঃ যে দুআটি রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে সাব্যস্ত হয়েছে:
اللَّهُمَّ ربَّ النَّاسِ، أَذْهِب الْبَأسَ، واشْفِ، أَنْتَ الشَّافي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفاءً لاَ يُغَادِرُ سقَماً
(অর্থ- হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি কষ্ট দূর করে দিন ও আরোগ্য দান করুন। (যেহেতু) আপনিই রোগ আরোগ্যকারী। আপনার আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। আপনি এমনভাবে রোগ নিরাময় করে দিন যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।)
জিব্রাইল আ. নবী ﷺ-কে যে দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছেন সেটাও পড়া যেতে পারে। সে দুআটি হচ্ছে-
بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ , مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ أَوْ حَاسِدٍ , اللَّهُ يَشْفِيكَ بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
(অর্থ- আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। সকল কষ্টদায়ক বিষয় থেকে। প্রত্যেক আত্মা ও ঈর্ষাপরায়ণ চক্ষুর অনিষ্ট থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য করুন। আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি।)
এই দোয়াটি তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার পড়ে হাতে ফুঁ দিবেন।
তারপর সারা শরীরে মালিশ করে দিবেন।
রাতে ঘুমানোর আগেও এই কাজ করবেন।
অযু করে পবিত্র অবস্থায় পবিত্র বিছানায় ঘুমাবেন।
বিছানা অপবিত্র থাকলে সেটা পবিত্র করে নিবেন।
এরপর আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে ঘুমিয়ে যাবেন।