আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
১। আমি স্বপ্নে দেখেছি আমার আম্মু আমার থেকে কিছুটা দূরে ছিলো। আমি আম্মুর কাছে যাওয়ার জন্য রাস্তা পার হতে লাগলাম। সেই রাস্তাটা ছিলো খুবই কর্দমাক্ত। অন্য একটা মেয়ে ও রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো, তার পায়ের গোড়ালি কাদার মাঝে ডুবে আছে। আমি চাইনি আমার পায়ে কাদা লাগুক বিন্দুমাত্র। আমি তাই সাবধানে রাস্তা পার হতে লাগলাম এবং সফলভাবেই রাস্তা পার হলাম।
এরপরের রাস্তাটা পাকা ছিলো কিন্তু রাস্তা দিয়ে হালকা পানি বয়ে যাচ্ছিলো। ট্যাপ ছাড়লে ফ্লোর দিয়ে যেভাবে পানি ভেসে যায় তেমন। তো ওই রাস্তাটাও আমি ভালো ভাবে পার হলাম পায়ে কোনো পানি না লাগিয়ে।
রাস্তা পার হওয়ার পর আমি দেখলাম আমার একপাশে একটা বিশাল এরিয়া জুড়ে সারি সারি কাঠাল গাছ। সামনের দিকের অনেক গুলো গাছ ভর্তি বড় বড় কাঠাল।
এরপর আমি আর সম্ভবত আমার মা একটা ঘরে ঢুকলাম। সেটা সম্ভবত কোনো থানা ছিলো। সেখানে আমার ফ্রেন্ডের সাথে দেখা হলো আর একটা খাবার খাওয়া নিয়ে আমরা হাসাহাসি করছিলাম।
আমার স্বপ্নের কি কোনো মিনিং আছে? কর্দমাক্ত রাস্তা, পাকা রাস্তা কিংবা গাছ ভর্তি বড় বড় কাঠাল দেখার কোনো ব্যাখ্যা থাকলে জানাবেন দয়া করে।
২। স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি পুরো স্বপ্ন শুনে দেওয়া হয় নাকি স্বপ্নের যেকোনো একটা অংশ ই যথেষ্ট?  যেমন আমার স্বপ্নের বেলায় আমি প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাপার গুলো ছাড়াও আরও অনেক কিছু দেখেছি কিন্তু সেগুলো আমার মনে নেই।

আমি অবিবাহিত।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের ব্যাখ্যাঃ-

আপনি যদি বিবাহিতা হোন,সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সন্তান দান করবেন।

আর যদি অবিবাহিতা হোন,সেক্ষেত্রে নেক আমল করার তওফিক বৃদ্ধি পাবে,ইনশাআল্লাহ। 

পথ চলতে বাধা আসতে পারে,আশা করি আপনি সমস্ত বাধা ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন,ইনশাআল্লাহ। 

(০২)
এক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বপ্নের মূল পয়েন্ট মূলত উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। স্বপ্নে যেই পয়েন্টকে ফোকাস করা হয়েছে,সেটা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...