আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম শাইখ। নিচে আমি একটি ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে দিলাম। 

এখানে বলা হচ্ছে, এরূপ করা বিদ'আত হবে - "এক ব্যক্তি তাকবীর শব্দ উচ্চারণ করছে এবং বাকিরা বলছে আল্লাহু আকবার"। 

উনার মতে এরূপ পদ্ধতি নাকি রাসূল ﷺ ও সাহাবীদের সময় ছিল না। বরং উনাদের পদ্ধতি এমন ছিল- রাসূল ﷺ বলতেন "আল্লাহু আকবার", অন্য সাহাবীরাও সমস্বরে বলতেন "আল্লাহু আকবার"। 

অনুগ্রহ করে জানাবেন, এখানে যা বলা হয়েছে তা কী আসলেই সঠিক? 

ভিডিও ক্লিপ : https://drive.google.com/file/d/15ETCp072rXtGjTDQWlC_nc2qiXW00eGH/view?usp=drivesdk

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহু আকবার এর তাকবির হাদীস শরীফে এসেছেঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজে আল্লাহু আকবর বলে তাকবির দিয়েছেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
   
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ خَرَجَ إِلَى خَيْبَرَ أَتَاهَا لَيْلاً وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَوْمًا بِلَيْلٍ لَمْ يُغِرْ عَلَيْهِمْ حَتَّى يُصْبِحَ فَلَمَّا أَصْبَحَ خَرَجَتْ يَهُودُ بِمَسَاحِيهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ فَلَمَّا رَأَوْهُ قَالُوا مُحَمَّدٌ وَافَقَ وَاللَّهِ مُحَمَّدٌ الْخَمِيسَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ " .

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার অভিযানের যাত্রা করে সেখানে রাতের বেলা গিয়ে পৌছান। তিনি রাতের বেলা কোন সম্প্রদায়ের এলাকায় পৌছালে ভোর না হলে হামলা করতেন না। ইয়াহুদীরা ভোর হলে তাদের চিরাচরিত অভ্যাস মোতাবিক কোদাল ও ঝুড়িসহ (কৃষিকাজে) বের হল। তাকে দেখে এরা বলল, মুহাম্মাদ এসে গেছেন। আল্লাহর শপথ! মুহাম্মাদ তার সমস্ত বাহিনীসহ এসে গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহু আকবার! খাইবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমরা যখন কোন সম্প্রদায়ের এলাকায় যাই তখন সতর্ককৃত লোকদের ভোর বেলাটা খুবই শোচনীয় হয়ে থাকে।
(তিরমিজি ১৫৫০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
"নারায়ে" অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। আর "তাকবীর" অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব।

নারায়ে তাকবীর অর্থ হলো, তোমরা উচ্চ আওয়াজে আল্লাহর বড়ত্বের ঘোষণা দাও,তোমরা উচ্চ আওয়াজে আল্লাহর তাকবির বলো।

এ শব্দগুলোতে যেহেতু শরীয়া বিরোধী কিছু নেই সুতরাং তা বলতেও কোন দোষ নেই ইনশাআল্লাহ।

তবে কেউ কেউ এর বিপরীত মত পোষন করে থাকেন। সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারেন।
কোনো সমস্যা নেই।

★তবে নারীগন গায়রে মাহরাম শোনার সম্ভাবনা থাকলে আওয়াজ দিয়ে কোনোক্রমেই তাকবির বলবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...