জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহু আকবার এর তাকবির হাদীস শরীফে এসেছেঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজে আল্লাহু আকবর বলে তাকবির দিয়েছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ خَرَجَ إِلَى خَيْبَرَ أَتَاهَا لَيْلاً وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَوْمًا بِلَيْلٍ لَمْ يُغِرْ عَلَيْهِمْ حَتَّى يُصْبِحَ فَلَمَّا أَصْبَحَ خَرَجَتْ يَهُودُ بِمَسَاحِيهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ فَلَمَّا رَأَوْهُ قَالُوا مُحَمَّدٌ وَافَقَ وَاللَّهِ مُحَمَّدٌ الْخَمِيسَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ " .
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার অভিযানের যাত্রা করে সেখানে রাতের বেলা গিয়ে পৌছান। তিনি রাতের বেলা কোন সম্প্রদায়ের এলাকায় পৌছালে ভোর না হলে হামলা করতেন না। ইয়াহুদীরা ভোর হলে তাদের চিরাচরিত অভ্যাস মোতাবিক কোদাল ও ঝুড়িসহ (কৃষিকাজে) বের হল। তাকে দেখে এরা বলল, মুহাম্মাদ এসে গেছেন। আল্লাহর শপথ! মুহাম্মাদ তার সমস্ত বাহিনীসহ এসে গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহু আকবার! খাইবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমরা যখন কোন সম্প্রদায়ের এলাকায় যাই তখন সতর্ককৃত লোকদের ভোর বেলাটা খুবই শোচনীয় হয়ে থাকে।
(তিরমিজি ১৫৫০)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
"নারায়ে" অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। আর "তাকবীর" অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব।
নারায়ে তাকবীর অর্থ হলো, তোমরা উচ্চ আওয়াজে আল্লাহর বড়ত্বের ঘোষণা দাও,তোমরা উচ্চ আওয়াজে আল্লাহর তাকবির বলো।
এ শব্দগুলোতে যেহেতু শরীয়া বিরোধী কিছু নেই সুতরাং তা বলতেও কোন দোষ নেই ইনশাআল্লাহ।
তবে কেউ কেউ এর বিপরীত মত পোষন করে থাকেন। সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারেন।
কোনো সমস্যা নেই।
★তবে নারীগন গায়রে মাহরাম শোনার সম্ভাবনা থাকলে আওয়াজ দিয়ে কোনোক্রমেই তাকবির বলবেনা।