আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
646 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
edited by
জন্মদিনের কেক কি খাওয়া যায়?জন্মদিন পালন না করেও বা এটাকে সমর্থন না করেও যদি জন্মদিনের কেক বিক্রি করা হয়,অর্থাৎ ব্যবসার উদ্দেশ্য  বিক্রি করা  হলে তা কি জায়েয হবে?

২.কাউকে সতর্ক করার জন্য,অথবা নিজেকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য অন্য মানুষ সম্পর্কে, তার দোষ বাজে অভ্যাস উল্লেখ  করা কি জায়েজ।যদি সে মানুষটাই মানসিকভাবে খারাপ হয়।অন্যক্ষেত্রে নিজের সমস্যার জন্য সমাধান পাওয়ার জন্য যোগ্য এমন স্থানে একজনের সম্পর্কে নালিশ দেওয়ার ক্ষেত্রে  কি তার সমালচনা বা দোষ উল্লেখ করা জায়েয হবে?

৩.সমাজ রাষ্ট্রীয় বা কোনো  প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে নিজের মধ্যেও কাজের জন্য সমালোচনা করা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
জন্মদিন পালন একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। আর ইসলামি শরিয়তে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

হাদিস শরিফে এসেছে,

عن ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من تشبه بقوم فهو منهم

‘যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৩১]

জন্মদিন পালন করা,ও তাতে শরীক হওয়া এবং সাহায্য সহযোগিতা করা বা এ উপলক্ষ্যে কিছু গ্রহণ করা, কোনোটাই জায়েয হবে না।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/287 

যেহেতু জন্মদিন উপলক্ষ্যে দাওয়াত গ্রহণ করা,বা জন্মদিনের কেক খাওয়া জন্মদিন পালনেরই নামান্তর, তাই কোনো প্রকারের দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে না।
জন্মদিনের কেক খাওয়া যাবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এই ব্যবসার বিধান নিয়ে সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।      
,
এমন ব্যবসা যেখানে মতপার্থক্য চলে আসে সেরকম ব্যবসায় সাধারণত নিজেকে না জড়ানোই ভাল ও উত্তম। তবে যদি কোথাও শত চেষ্টা করার পরও এছাড়া অন্য কোনো ব্যবসার সুযোগ না হয়,তাই যেহেতু কিছুসংখ্যক উলামায়ে এরকম ব্যবসার অনুমোদনের পক্ষে রয়েছেন, সেহেতু এরকম ব্যবসার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।সেক্ষেত্রে গোনাহ ঐ ব্যক্তির-ই হবে, যে গোনাহকে সরাসরি সংগঠিত করবে। বিক্রেতার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০২)
হ্যা জায়েজ হবে,তবে সীমাতিরিক্ত বলা যাবেনা।

(০৩)
জুলুম থেকে নিচে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে। এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে, যে একে প্রতিহত করতে পারবে।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এমনটি না হলে তা নিয়ে আলোচনা করা জায়েজ নেই।
 
৬ টি ছুরতে অন্যের গীবত করা জায়েজ, বিস্তারিত জানুনঃ        


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...