আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আজকে সকালে ফজরের পর ঘুমিয়েছিলাম।
স্বপ্নের ভেতরেই আবার আমি একটা স্বপ্ন দেখছিলাম। দেখলাম একজন হিজড়াকে আমাদের বাসায় দাওয়াত করা হয়েছে।  তো,  তাকে আমি আপ্যায়নের জন্য রুমে গিয়ে দেখলাম এদিকে সেদিকে অনেক মাকড়সা। কোনোটা আবার ডিমসহ। ছোট বড়।
একটা দড়ির সাথে ঝুলছিল। ওটা মরা ছিল। আমি যাইতে গিয়ে ওইটা আমার মুখে লেগে গেল।  আমি অনেক লাফালাফি শুরু করে দিলাম কারণ,  আমি স্বভাবতই মাকড়সা অনেক বেশি ভয় পাই। যাহোক সেটা কেন জানি মুখ থেকে সরাতে পারছিলাম না। কিভাবে যেন পরে সরাইলাম।
তারপর খেতে বসলাম।  খেতে বসার পর আমার পেছন দিকের পর্দার মধ্যে দেখতেসি উপর থেকে অনেক অনেক মানে অনেকগুলো ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের মাকড়সা নামতেসে। পরে আমি বলতেসি মনে হয় পর্দার পেছনে বাসা বাঁধছে।
তো, এই স্বপ্নটা ভেঙে গেল স্বপ্নের ভেতরেই।  স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পর আমি আবার রুমে কয়েকটা মাকড়সা দেখতেসিলাম।
তারপর, ফাইনালি আমার ঘুম ভেঙে গেল এবং বুঝলাম যে এইসব কিছুই ছিল স্বপ্ন।
আমি জানতে চাচ্ছিলাম হঠাৎ এত বেশি মাকড়সা দেখলাম কেন উস্তায? যেখানে আমাদের বাসায় এমন মাকড়সা একেবারেই দেখা যায় না।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/6203/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,
হাদীস শরীফে এসেছে  
خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 
আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 

★স্বপ্নে মাকড়সা দেখার অর্থ হলো আপনি কমজোড় লোকদের দেখেছেন,কাপড় বুননে ওয়ালাদের দেখেছেন।
এটার উপর আপনার বাস্তব জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই।
,
কেহ কেহ বলেছেন যে স্বপ্নে মাকড়সা দেখার অর্থ হলো তারা আপনাকে কিছু মনে করিয়ে দিচ্ছে। নিজের সৃজনশীলতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে মাকড়সারা আবার মনে করিয়ে দেয় আপনাকে সেই কথা। এমনিতেই মাকড়সারা যথেষ্ট সৃজনশীল প্রাণী। এরা যেভাবে জাল বোনে তা দেখার মত।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্ন নিয়ে টেনশন না করার পরামর্শ থাকবে। ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...