(০১)
কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে সান্তনাবাণী শুনিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে- (তরজমা) আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। -সূরা আ‘রাফ ২০০
হাদীস শরীফে এসেছে, এক সাহাবী হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, আল্লাহর রাসূল! অনেক সময় আমার মনে এমন সব কথা আসে, যা মুখে উচ্চারণ করার চেয়ে আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়াও আমার কাছে অধিক পছন্দনীয়। আমি কী করতে পারি? দেখুন,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী জওয়াব দিলেন! তিনি বললেন-‘এটা তো খাঁটি ঈমানের আলামত।’ (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, বাবু বয়ানিল ওয়াসওয়াসা ফিল ঈমান)
★এগুলো মাথায় আসলে মনোযোগ দিবেন না। কেননা, এইসব অবাঞ্ছিত চিন্তাকে গুরুত্ব দিয়ে কীভাবে তা দূর করা যায় এ চিন্তায় পড়ে গেলে আপনি এখানেই আটকা পড়ে যাবেন। সামনে অগ্রসর হওয়া আর সম্ভব হবে না। এভাবে শয়তানের উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাবে।
,
এ ধরনের চিন্তা যদি বেশি আসে তাহলে এর সমাধান হযরত থানভী রাহ. এভাবে দিয়েছেন যে, এ ক্ষেত্রেও তা দূর করার চিন্তা ঠিক নয়। কেননা, যতই দূর করার চেষ্টা করবে ততই তা জোরদার হবে। এ সময় অন্য কাজে মনোনিবেশ কর কিংবা ভিন্ন চিন্তায় মশগুল হও।
দর্শন শাস্ত্রে আছে-মানুষের চিন্তা এক মুহূর্তে দুই বিষয়ে নিবদ্ধ হয় না।
তুমি যদি নিজেকে ভিন্ন কাজে বা ভিন্ন চিন্তায় মশগুল কর তাহলে প্রথম চিন্তা এমনিই দূর হয়ে যাবে।
,
এ সমস্ত কথা মাথায় আসলেই করনীয় হলোঃ নামাজে মগ্ন হয়ে যাওয়া,কুরআন তিলাওয়াত, যিকির আযকারে লিপ্ত হয়ে যাওয়া।
ইস্তেগফার পাঠ করা।
,
★নামাজে এমনটি হলে সেদিকে মনোযোগ দিবেন না।
কোনোভাবেই ভ্রুক্ষেপ করবেননা।
,
একাকী নামাজ পড়া অবস্থায় এমন হলে তিলাওয়াত এমন আওয়াজে পড়ুন,যাতে করে নিজ কান পর্যন্ত আসে।
রুকু সেজদাহর তাসবীহ, তাশাহুদ ইত্যাদিও এমন আওয়াজেই পড়ুন।
,
ইমামের সাথে নামাজ আদায়কালে এমনটি হলে মনোযোগ সহকারে তিলাওয়াত শুনুন।
রুকু সেজদাহর তাসবীহ, তাশাহুদ ইত্যাদি উল্লেখিত আওয়াজেই পড়ুন।
(০২)
সম্মান প্রদর্শনের ক্ষেত্রে যদি কাউকে বাধ্য হয়ে কারো পায়ে সালাম করা অথবা মাথানত বা কুর্নিশ করা হয় সেক্ষেত্রে এ কাজটি নাজায়েজ হবে।
তবে শিরক হবেনা।
,
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৩)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী পুরুষ মহিলা সকলের জন্য নাচ গান হারাম।
,
দফ বাজানোর বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
,
নাচের বিধান জানুনঃ
একাকী বদ্ধ ঘরে বা স্বামীর সামনে নাচার বিধান জানুনঃ
ইসলামে গান বাজনা সম্পূর্ণভাবে হারাম,কবীরাহ গুনাহ।
বিস্তারিত জানুনঃ