আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
9 views
ago in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

২০২২ সালের মহররম মাসে আমার বিয়ে হয়।সেসময় দুই পরিবার থেকে কিছু সোনা ও রুপা মিলিয়ে আার দেনমোহরের নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ রুপার নেসাব পূর্ণ করে এমন সম্পদের মালিক হই। দেনমোহরের ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার দিয়ে দুইটা ছাগল কিনি।বাকি ৩০ হাজার টাকা ছিল। এই সম্পদ ২০২৩ এর মহররম মাস আসলে ১ বছর পূর্ণ করে কিন্তু তখন যাকাত ফরজ হয়েছে কিনা( সোনা অল্প তবে রুপার নেসাব হবে) সে সম্পর্কে সঠিক না জানার কারণে যাকাত দেয়া হয়নি।

এর ৪ মাস পর আমি কিছু সোনার গহনা( দুই ভরির একটু কম) উপহার হিসেবে নানা শ্বশুর এর কাছে থেকে পাই। কিন্তু এই গহনা সহ আমার আগের কিছু গহনা আমি ২০২৪ এর মহররম মাস আসার আগেই বিক্রি করে দেই। এখন আমার কাছে সামান্য কিছু সোনা ও ৭ ভরি মতো রুপা রয়েছে। এতে অনেক বেশি যাকাত আসবেনা তবে রুপার নেসাবটা টেনেটুনে হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। নগদ কোনো টাকা নেই ৫ হাজার টাকা গুছিয়েছি যাকাত দেয়ার জন্য।আর দুই হাজার টাকা যাকাত দিয়ে দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।  আর এইটুকু সম্পদ আমার আরেকটা মহররম মাস পূর্ণ করেছে আলহামদুলিল্লাহ। অর্থাৎ ২০২৪ এর মহররম মাস পার করেছে।

এখন জানতে চাচ্ছিলাম আমি হিসাবটা কিভাবে করবো?

১।যেহেতু যাকাত ১ম বছরে দেয়া হয়নি এখন দিতে হলে নেসাব কিভাবে হিসাব করবো? ১ম বছরে যে সম্পদ ছিল + বর্তমান যা আছে আলাদা ভাবে যোগ করবো?

২।উপহার পাওয়া সম্পদ বছর পূর্ণ করেনি।সেক্ষেত্রে কি সেই সম্পদেরও যাকাত দিতে হবে? যদি দিতে হয় কিভাবে হিসাব করবো?

৩।২০২৩ সালের কুরবানীতে আমার বছর পূর্ণ করেনি বিধায় কুরবানী ওয়াজিব হয়েছিল না।কিন্তু ২০২৪ এ যেহেতু রুপার নেসাব পরিমান সম্পদ আমার ছিল।নগদ টাকা ছিলনা। আমার কি কুরবানী ওয়াজিব হয়েছিল?

৪।কুরবানী ওয়াজিব হলে আমিতো দেইনি।এখন আমার করনীয় কি?

৫।উস্তাদ আমার স্বামী স্টুডেন্ট। তার খালাতো ভাইয়ের ব্যাবসা অস্থায়ী ভাবে দেখাশোনা করে।মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন পায়।আর আমার শ্বশুর শাশুড়ী দুজনেই চাকরি করে।আমি গর্ভবতী। এক্ষেত্রে কি আমার যাকাতের টাকা আমার স্বামী হকদার হতে পারে ব্যবসার নিয়ত থাকলে?

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...