আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ
২০২২ সালের মহররম মাসে আমার বিয়ে হয়।সেসময় দুই পরিবার থেকে কিছু সোনা ও রুপা মিলিয়ে আার দেনমোহরের নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ রুপার নেসাব পূর্ণ করে এমন সম্পদের মালিক হই। দেনমোহরের ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার দিয়ে দুইটা ছাগল কিনি।বাকি ৩০ হাজার টাকা ছিল। এই সম্পদ ২০২৩ এর মহররম মাস আসলে ১ বছর পূর্ণ করে কিন্তু তখন যাকাত ফরজ হয়েছে কিনা( সোনা অল্প তবে রুপার নেসাব হবে) সে সম্পর্কে সঠিক না জানার কারণে যাকাত দেয়া হয়নি।
এর ৪ মাস পর আমি কিছু সোনার গহনা( দুই ভরির একটু কম) উপহার হিসেবে নানা শ্বশুর এর কাছে থেকে পাই। কিন্তু এই গহনা সহ আমার আগের কিছু গহনা আমি ২০২৪ এর মহররম মাস আসার আগেই বিক্রি করে দেই। এখন আমার কাছে সামান্য কিছু সোনা ও ৭ ভরি মতো রুপা রয়েছে। এতে অনেক বেশি যাকাত আসবেনা তবে রুপার নেসাবটা টেনেটুনে হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। নগদ কোনো টাকা নেই ৫ হাজার টাকা গুছিয়েছি যাকাত দেয়ার জন্য।আর দুই হাজার টাকা যাকাত দিয়ে দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। আর এইটুকু সম্পদ আমার আরেকটা মহররম মাস পূর্ণ করেছে আলহামদুলিল্লাহ। অর্থাৎ ২০২৪ এর মহররম মাস পার করেছে।
এখন জানতে চাচ্ছিলাম আমি হিসাবটা কিভাবে করবো?
১।যেহেতু যাকাত ১ম বছরে দেয়া হয়নি এখন দিতে হলে নেসাব কিভাবে হিসাব করবো? ১ম বছরে যে সম্পদ ছিল + বর্তমান যা আছে আলাদা ভাবে যোগ করবো?
২।উপহার পাওয়া সম্পদ বছর পূর্ণ করেনি।সেক্ষেত্রে কি সেই সম্পদেরও যাকাত দিতে হবে? যদি দিতে হয় কিভাবে হিসাব করবো?
৩।২০২৩ সালের কুরবানীতে আমার বছর পূর্ণ করেনি বিধায় কুরবানী ওয়াজিব হয়েছিল না।কিন্তু ২০২৪ এ যেহেতু রুপার নেসাব পরিমান সম্পদ আমার ছিল।নগদ টাকা ছিলনা। আমার কি কুরবানী ওয়াজিব হয়েছিল?
৪।কুরবানী ওয়াজিব হলে আমিতো দেইনি।এখন আমার করনীয় কি?
৫।উস্তাদ আমার স্বামী স্টুডেন্ট। তার খালাতো ভাইয়ের ব্যাবসা অস্থায়ী ভাবে দেখাশোনা করে।মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন পায়।আর আমার শ্বশুর শাশুড়ী দুজনেই চাকরি করে।আমি গর্ভবতী। এক্ষেত্রে কি আমার যাকাতের টাকা আমার স্বামী হকদার হতে পারে ব্যবসার নিয়ত থাকলে?