ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
اَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا كَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُكُمۡ بَعۡضًا ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُكُمۡ اَنۡ یَّاۡكُلَ لَحۡمَ اَخِیۡهِ مَیۡتًا فَكَرِهۡتُمُوۡهُ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ
হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু।(হুজুরাত-১২)
একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার খোতবার দোষ অন্বেষণকারীদের সম্পর্কে বলেছেনঃ “হে সেই সব লোকজন, যারা মুখে ঈমান এনেছো কিন্তু এখনো ঈমান তোমাদের অন্তরে প্ৰবেশ করেনি, তোমরা মুসলিমদের গোপনীয় বিষয় খোঁজে বেড়িও না। যে ব্যক্তি মুসলিমদের দোষ-ত্রুটি তালাশ করে বেড়াবে আল্লাহ্ তার দোষ-ত্রুটির অন্বেষণে লেগে যাবেন। আর আল্লাহ যার ত্রুটি তালাশ করেন তাকে তার ঘরের মধ্যে লাঞ্ছিত করে ছাড়েন।” [আবু দাউদ: ৪৮৮০]
মু'আবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ আমি নিজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “তুমি যদি মানুষের গোপনীয় বিষয় জানার জন্য পেছনে লাগো। তাদের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করবে কিংবা অন্তত বিপর্যয়ের দ্বার প্রান্তে পৌছে দেবে।” [আবু দাউদ: ৪৮৮৮] অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মুসলিমদের গীবত করো না এবং তাদের দোষ অনুসন্ধান করো না। কেননা, যে ব্যক্তি মুসলিমদের দোষ অনুসন্ধান করে, আল্লাহ তার দোষ অনুসন্ধান করেন। আল্লাহ যার দোষ অনুসন্ধান করেন, তাকে স্ব-গৃহেও লাঞ্ছিত করে দেন।” [আবু দাউদ: ৪৮৮০]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাধারণত স্বামীর জন্য স্ত্রীর দোষ তালাশ করা এবং স্ত্রীর জন্য স্বামীর দোষ তালাশ করা নাজায়েয। তবে হ্যা, বিশেষ জরুরতে গোয়েন্দাগিরি করা যেতে পারে।
যে এ্যাপ কতৃপক্ষ এডে মূর্তি দেখাইছে, সে কারনে তাদের এ্যাপ পেমেন্টের মাধ্যমে ব্যাবহার করা নিষেধ হবে না।
(২)
যদি নফসের তাড়নায় গোনাহ করে ফেলা হয়, তাহলে সেটা নফসের পুজা শিরক বা কুফরি হবে না।
(৩) কবিরা সগিরা গোনাহকে গোনাহ জেনে খারাপ মনে করে করলে, নফসের অনুসরন করা হবে ঠিক তবে শিরক করা হবে না।
(৪) কবিরা গোনাহ শেষ পর্যন্ত কুফরির দিকে নিয়ে যেত পারে। কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সাথে নাটক দেখে বান্দার হক নষ্ট করে, সে কাফের হবে না তবে কুফর শিরকের দিকে আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকবে।
(৫) বান্দার হক নষ্ট করলে কোনো ইবাদাত কবুল হবে না। তবে আল্লাহ চাইলে কবুল করে নিতে পারেন।