ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস কর্তৃক বর্ণিত,
عن عبد اللهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا يَنْتَزِعُهُ مِنَ النَّاسِ وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ حَتَّى إِذَا لَمْ يَتْرُكْ عَالِمًا اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالاً فَسُئِلُوا فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা তোমাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার মত তুলে নেবেন না। বরং ইলম-ওয়ালা (বিজ্ঞ) উলামা তুলে নিয়ে ইলম তুলে নেবেন। এমতাবস্থায় যখন কেবল জাহেলরা অবশিষ্ট থাকবে, তখন লোকেরা তাদেরকেই ফতোয়া জিজ্ঞাসা করবে। ফলে তারা নিজেদের রায় দ্বারা ফতোয়া দেবে, যাতে তারা নিজেরা ভ্রষ্ট হবে এবং অপরকেও ভ্রষ্ট করবে।(বুখারী ১০১, ৭৩০৭, মুসলিম ৬৯৭১.মিশকাত-১৫৭৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাধারণ নিয়ম হল, কোনো বিষয়ে ভালভাবে শিখে সেই বিষয়ের শিক্ষাদানের গুরুভার নেয়া। কিন্তু যেহেতু আপনার দায়িত্ব শিক্ষাদান নয়, বরং ক্লাস শুনে নোট করা, প্রশ্ন করা, স্টুডেন্ট দের এক্সাম নেওয়া, রেজাল্ট তৈরী করা, এগুলোই আপনার দায়িত্ব, তাই এ দায়িত্ব নেয়াতে কোনো সমস্যা হবে না। উপরোক্ত হাদীসের মুস্তাহিক আপনি হবেন না।উক্ত হাদীস আপনার বেলায় প্রযোজ্য হবে না।
(২)
যেহেতু তিনি অন্য মাযহাবের তাই আপনাকে প্রবলেম ফেইস করতে হতে পারে। আপনার সৎ সাহস এবং নিজ মাযহাবের কিতাবাদি অধ্যায়নের দৃঢ় মনোভাব থাকলে আশা রাখি সমস্যা হবে না।