ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/63289/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
বিদগ্ধ গবেষক আল্লামা ইবনে উছাইমিন রহ: বলেন
ﻭﺍﻷﻋﻴﺎﺩ
ﺍﻟﺸﺮﻋﻴﺔ ﻣﻌﺮﻭﻓﺔ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻹﺳﻼﻡ ، ﻭﻫﻲ ﻋﻴﺪ ﺍﻟﻔﻄﺮ، ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻷﺿﺤﻰ ، ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻷﺳﺒﻮﻉ ( ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ
) ﻭﻟﻴﺲ ﻓﻲ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺃﻋﻴﺎﺩ ﺳﻮﻯ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ
শরীয়ত স্বীকৃত ঈদ হলো তিনটা যা মুসলিমদের নিকট অতি সু-পরিচিত, এবং তা হলো, ঈদুল আযহা, ঈদুল ফিতর, সাপ্তাহিক ঈদ
(শুক্রবার) এই তিন ঈদ ব্যতীত ইসলামে অন্য কোনো ঈদ নেই। (মাজমু'উ ফাতাওয়া ইবনে
ইছাইমিন,২/৩০১)
সুতরাং বিশেষ কোন দিন-তারিখ নির্ধারণ করে
"হৃদরোগ দিবস"
"ডায়াবেটিস দিবস"
"হিজাব দিবস"
"মা দিবস"
ও নববর্ষ
"বিবাহ বার্ষিকী"
ইত্যাদি পালন করা কখনো বৈধ হবে না।
যদিও কাজটি ভালো হোক এবং জনসচেতনতার স্বার্থে হোক না কেন। কেননা এগুলো কাজ ভালো হলেও এতে অনেক খারাবী রয়েছে।
যেমনঃ এই সমস্ত দিবসকে ঈদের স্থানে নিয়ে আসা, কাফিরদের অনুসরণ, নারী-পুরুষের
অবাধ বিচরণের সুযোগ সৃষ্টি সহ মুসলিম সমাজে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ইত্যাদি নানান
সমস্যা এতে রয়েছে। তাই দিবস পালনকে শরীয়ত
কখনো সমর্থন দিতে পারেনা।
তবে জনসচেতনতার স্বার্থে দিন-তারিখ ঠিক না করে অন্য কোনো প্রদেক্ষেপ
গ্রহণ করা যেতে পারে।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তাই বিবাহ বার্ষিকী পালন করা কখনো জায়েয হবে না। এ উপলক্ষ্যে
স্বামী-স্ত্রী কর্তৃক পরস্পর হাদিয়া প্রদানও জায়েয হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/166