আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

আমার বিয়ে হয় জানুয়ারির ৬ তারিখ( শুক্রবার)। সে হিসেবে আমার স্বামী প্রত্যেক মাসের ৬ তারিখ আমাকে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন। এবং আমিও ওইদিন ওনার জন্য একটু স্পেশাল থাকার চেষ্টা করি। এতে কি আমাদের গুনাহ হবে?
এছাড়াও বছরের প্রথম শুক্রবার যেহেতু ৬ তারিখে বিয়ে হয়েছে, তিনি তারিখ কে প্রাধান্য না দিয়ে বছরের প্রথম শুক্রবার রোজা রাখেন আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করার জন্য। এবং আমরা ২ জন ২ জন কে কিছু গিপ্ট করার চেষ্টা করি। ব্যাপারগুলো একেবারেই আমাদের মধ্যে, জাস্ট বিবাহের মতো বরকতময় দিনটা মনে পড়ে সেজন্য স্পেশাল লাগে।

এখন এতে কি আমাদের গুনাহ হবে?  এবং প্রত্যেক মাসের ব্যাপারটার জন্য।?

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/63289/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

বিদগ্ধ গবেষক আল্লামা ইবনে উছাইমিন রহ: বলেন

ﻭﺍﻷﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﺸﺮﻋﻴﺔ ﻣﻌﺮﻭﻓﺔ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻹﺳﻼﻡ ، ﻭﻫﻲ ﻋﻴﺪ ﺍﻟﻔﻄﺮ، ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻷﺿﺤﻰ ، ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻷﺳﺒﻮﻉ ( ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ) ﻭﻟﻴﺲ ﻓﻲ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺃﻋﻴﺎﺩ ﺳﻮﻯ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ

শরীয়ত স্বীকৃত ঈদ হলো তিনটা যা মুসলিমদের নিকট অতি সু-পরিচিত, এবং তা হলো, ঈদুল আযহা, ঈদুল ফিতর, সাপ্তাহিক ঈদ (শুক্রবার) এই তিন ঈদ ব্যতীত ইসলামে অন্য কোনো ঈদ নেই। (মাজমু'উ ফাতাওয়া ইবনে ইছাইমিন,২/৩০১)


সুতরাং বিশেষ কোন দিন-তারিখ নির্ধারণ করে

"হৃদরোগ দিবস"

"ডায়াবেটিস দিবস"

"হিজাব দিবস"

"মা দিবস"

ও নববর্ষ

"বিবাহ বার্ষিকী"

ইত্যাদি পালন করা কখনো বৈধ হবে না।

যদিও কাজটি ভালো হোক এবং জনসচেতনতার স্বার্থে হোক না কেন। কেননা এগুলো কাজ ভালো হলেও এতে অনেক খারাবী রয়েছে।

যেমনঃ এই সমস্ত দিবসকে ঈদের স্থানে নিয়ে আসা, কাফিরদের অনুসরণ, নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণের সুযোগ সৃষ্টি সহ মুসলিম সমাজে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ইত্যাদি নানান সমস্যা এতে রয়েছে। তাই দিবস পালনকে  শরীয়ত কখনো সমর্থন দিতে পারেনা।

তবে জনসচেতনতার স্বার্থে দিন-তারিখ ঠিক না করে অন্য কোনো প্রদেক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


তাই বিবাহ বার্ষিকী পালন করা কখনো জায়েয হবে না। এ উপলক্ষ্যে স্বামী-স্ত্রী কর্তৃক পরস্পর হাদিয়া প্রদানও জায়েয হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/166


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (10 points)
আফওয়ান উস্তাজ। 
স্পষ্ট বুঝি না। মানে রোজা রাখা টাও নাজায়েজ হবে? এবং প্রত্যেক মাসের ব্যাপার টা ; যেহেতু কাউকে অনুসরণ করে করা হয় না।উস্তাজ,অনুগ্রহ করে বলবেন।আমার আবার জাওজ কে বুঝিয়ে বলতে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...