আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি দ্বীনে ফিরছি ২০ সালে এর আগে মুটামুটি দ্বীন পালন করতাম কিন্তু না বুঝে।তারপর এসএসসি এক্সামের সময় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে একটা ছেলের সাথে সে আমায় বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা কেউ রাজি হইনি।আর ওদের বিরুদ্ধে কিছু করিওনি কারন তখন লীগের নেতাদের পাওয়ার ছিল।তারপর কোনভাবে না পেরে আমায় আশিক জিনের মাধ্যমে জাদু করে এর ফলে আমি এখনো ভুগতেছি।১০ সেশন নিয়েছি সরাসরি রুকইয়াহ এর।এখনো শরীরে আছে।আশিক জিনটা ক্ষতি করে +উল্টা পাল্টা চিন্তা এনে দেয় নিজের ক্ষতি করার মত।পাশাপাশি মনে হয় কথাও বলে পজেটিভ কিন্তু আমি আসলে বুঝতে পারিনা আসলে আমি নিজে নিজে কথা বলি কি কারো সাথে বলি।এই অবস্থায় কলেজে ভর্তি হলে সেখনে একটা এফ পছন্দ করে। আর আমি নিকাব ও করি কিন্তু তখন ফ্রী মিক্সিং সম্পর্কে না-জানার কারনে আর্মি শাসিত কলেজে ভর্তি হইছিলাম।তারপর ওই এফটা অনেক ভাবে আমার সাথে কথা বলার ট্রাই করতো আমি বলতাম না ননমাহরাম না জানার আগে হাতেগুনা এলাকার আর কলেজের ১জনের এর সাথে কথা বলতাম টুকটাক। ওই ছেলেটার সাথে ও ২/৩ দিন একটু কথা হইছে যার সব ছিলো নেগেটিভ মত মানে আমি ওকে পছন্দ করিনা বা রাজি না।আর এমনে বলছিলাম আমার কাজিনের সাথে বিয়েও ঠিক করা আছে।তারপরও ঘুরতো। বন্ধু বান্ধবী সবাই ওইটা নিয়ে মজা নিতো।আমার নাম ভেংগায় মজা নিতো আরও ট্রল বুলিং করতো।তারপর আমরা এক্সাম দিয়ে যে যার মতো চলে আসি।মাঝখানে এডমিশন এ কারো সাথে যোগাযোগ হয়নি।তারপর আমি মহিলা কলেজে ভর্তি হই ওই ছেলেটা সেকেন্ড টাইম দিয়ে আমার কলেজের কাছে একটা ভার্সিটিতে চান্স নেয়।আর আমার বান্ধবীদের থেকে আমার সব খোজ নিতো।আমার সব নাকি জানে।তারপর আরও অনেক কিছু হয়।এরমধ্যে আমি একদিন সহ্য করতে না পেরে সব কিছু বলি আর এমন বিরক্ত আরও কতদিন করবে জিগাই। তারপর বলি ওর জন্য আমি কলেজ চেন্জ করি।মুটামুটি সব কথা বলার পর ওই বলে ওর বোকামির জন্য এমন আর ওইও নাকি টিছি নিয়ে অন্য ভারসিটিতে চলে গেছে যেন আমি আর বিরক্ত না হই । জানিনা শিয়র গেছে কিনা। কারন খোজখবর রাখিনা।তারপর সব বলার পর বলে ও গিল্টি ফিল করে তো আমি বলি এটার শাস্তি চাইলে তুই আমায় ব্লক কর আর আমার কোন খোজ নিস না +আমার ক্লোজদের আমার কথা জিগাসনা।পরে বলে আচ্ছা। আর ব্লক করে দেয় আমাক।
এখন কথা হচ্ছে কিছুদিন পর আমার বাসায় বিয়ের কথা হচ্ছে যদিও হয়ত লেট হবে আরও।এখন আমার মনে একটা মিশ্র চিন্তা আসতেছে যে ওকে সুযোগ দেওয়া উচিত কিনা।কারন বিয়ের জন্য প্রকৃত দ্বীনদার ছেলে পাওয়া খুবি টাফ।আর আমার বাসায় দ্বিনদার দেখলেও তারা আগে টাকা দেখবে।কারন তারা ভাবে হাফেজ আলেমরা গরীব হয় নাউ* আশেপাশের ওমন লোকজন দেখার কারনে হয়ত এমন ধারনা।কিন্তু তারা প্রকৃত কাউকে এনে দিবেননা জানি কারন ওনারা চান আমি ছেলে ঘটক বা ছেলের বাবাকে মুখ দেখাবো বা খুব কঠোর হবো না এসবে।আর এখনে এমন করলে তখন আরও যে কি হবে আল্লাহ আলাম।
আর ছেলেটা আগে থেকে পরিবর্তন হতে চাইতো কিন্তু পরিবেশ এর কারনে নাকি পারতো না।মাঝখানে বান্ধবী রা বলে যে চেন্জ হইছে নাকি নামাজ পড়ে দাড়ি রাখছে সব পারে না টুকটাক করতেছে চেষ্টা। কলেজে থাকতেও দেখতাম নামাজে যাইতো কিন্তু এটা লোক দেখানো ছিল কিনা আল্লাহ আলাম।তারপর বলে নাকি নিজেকে চেন্জ করবে। কারো হেল্প পেলে সুবিধা হতো সেটা যে কারো হোক।তো তাবলীগ এর মাধ্যমে বা আইওএম এ ফরজে আইন কোর্স করে চেঞ্জ হতে বলাতে পারি কি??।বান্ধবীরা আরও বলতো যে তুই যেভাবে চাস ওকে পরিবর্তন করে নিতে পারবি যদিও জোর দিয়ে বলার সাহস পেত না আমি ওসব শুনতে চাইতাম না জন্য ।যদিও এটা আল্লাহ না চাইলে হবেনা।আর আমি চাইলেও হেদায়েত আল্লাহ প্রদত্ত।কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছে আমার মত নেগেটিভ জেনেও।আর আমরা দুজনেই সেম ইয়ার এ,কোনভাবে বাসায় মানাই যদি ইজাব করে উঠায় না নিয়ে ওর জব ওবদি ওয়েট করি।তাহলে নিজেদের স্টাডিরও সময় পেলাম। আর তারপর বাসায় উঠায় নিলো।ফেতনা থেকেও বাচলাম দুজনেই।আর ফেতনা থেকে নিজেকে বাচাইতে বাচাইতে ক্লান্ত আমি। ওই যদি দ্বীনদার হয় তাহলে একটা সমস্যা ছাড়া আর কোন সমস্যা হবে না ইনশা আল্লাহ আশা করা যায়। কারন পারিবারিক ভাবে ভালোই।সমস্যা টা হচ্ছে  আমার বাসায় আমার মা দুরে বিয়ে না দেওয়া পক্ষে।পারলেতো একটা মেয়ে তাকে জামাই সহও রাখবে।এলাকায় বিয়ে দিবে কিন্তু এলাকায় ওমন ছেলে নেই আর আমাদের এলাকার পরিবেশ ও ভালো না পর্দার ক্ষেত্রে। সেই ছেলে চাইলেও ৮০%ওহবে না।এর মাঝে আমি অনবরত দুয়া করে যাচ্ছি যা কল্যানকর তাই হওয়ার জন্য আরও আমি ২+২ করে ইস্তেখারা সালাত আদায় করি আর ছোট দুয়াটা সবসময় পড়তে থাকি।তো আমার আসলে আগে যে একটু নেগেটিভ ভাবনা ছিল যে হবে না হয়ত কিন্তু ইস্তেখারা র পর মনে হচ্ছে দুয়ার মাধ্যমে হয়ত চেঞ্জও হতে পারে। কারন আমি ফেতনা থেকে বাচতে কল্যানকর সব চাইতাম আর একটা সময় এসে এটাও বলতাম আল্লাহ ওর মন থেকে আমায় সরাই দাও আর নাহয় ওর জন্য যে কল্যানকর তাকে পাঠাও ওর জীবনে।আমায় মুক্তি দাও।কিছু না করেও চাপ নেওয়া আমার । তারপরও সে থাকতো।এখন  কথায় কথায় একদিন আমি আমার আম্মুকে বলছিলাম কলেজের একটা ছেলে বান্ধবী দের বলছে আমাদের বাসায় বিয়ে র প্রস্তাব দিবে।তখন বলে ছেলে কেমন ভালো কিনা বলছি মুটামুটি দ্বিনদার আরও পরিবর্তন হচ্ছে।  আর যখন বলে বাড়ি কই বলি দুরে ওইখানে তখন রেগে যায় আর বলে যার যেখানে ভাল খুজে নাও।ওতদুর বিয়ে হলে একাই থাকিস মানে সবমানলেও দুর টা মানতে পারবেনা।আমার বাবা ভাইদের বিষয়ে জানিনা মানবে কিনা মানার সম্ভবনা বেশি ।আর এসব শুধু আমি ভেবে রেখেছি,ওই ছেলেও বা কেউ জানেনা।আমরা দুজনেই অনার্সে নিউ ফাস্ট ইয়ার এ।এখন এই পরিস্থিতি তে কি করতে পারি উস্তাদ।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপাতত উক্ত বিষয় নিয়ে না ভাবার পরামর্শ থাকবে। 
,
ছেলেটি যদি সত্যিই দ্বীন পালনে চেষ্টা রত থাকে,তার পরিবারে গিয়ে আপনার পূর্ণ পর্দা ও পূর্ণ দ্বীন মানার নিশ্চয়তা দেয়,আর আপনার পরিবারে কোনোদিন যদি বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়,সেক্ষেত্রে আপনার বাবা রাজী থাকলে উক্ত প্রস্তাবে আপনিও রাজী হতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...