জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
মুসলিম সরকার জনগনের উপকারার্থে যে আইন করে, তা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে নাজায়েজ না হলে এবং তাহা শরীয়তের খেলাফ কিছু না হলে তা মানা সে দেশের নাগরিকের জন্য আবশ্যক।
আল্লাহ তা'আলা সরকার প্রধানের বৈধ বিধি-নিষেধের আনুগত্য সম্পর্কে বলেন-
{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأمْرِ مِنْكُمْ}
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা সরকার/বিচারক তাদের।
সূরা নিসা-৫৯
কর প্রদাণের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে সহায়তা করা নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাপকতায় শামিল রয়েছে।
{وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلا تَعَاوَنُوا عَلَى الإثْمِ وَالْعُدْوَانِ}
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।
সূরা মায়েদা-০২
সেই হিসেবে পণ্য আমদানীর উপর সরকারী ট্যাক্স প্রদান করাই উচিত। তা ফাঁকি দেয়া বা ঘুষ দিয়ে আমদানী ঠিক নয়।
ট্যাক্স সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
কিন্তু কেহ যদি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পণ্য নিয়ে এসে দেশে এসে ব্যবসা করে, এ কারণে ব্যবসাকৃত টাকাকে হারাম বলা যাবে না।
যদিও আমদানী করার পদ্ধতিটা শরয়ী সাপোর্ট যোগ্য নয়। কিন্তু এ কারণে পণ্য বিক্রির টাকাকে হারাম বলা যাবে না।
এভাবে কর ও ট্যাক্স ফাকি দিয়ে পণ্য আমদানী করা থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য।
আরো জানুনঃ
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বাইয়ে মুদারাবার নীতিমালা মেনে এখানে টাজা ইনভেস্ট করা হলে লভ্যাংশ নেয়া জায়েজ হবে।
তবে এক্ষেত্রে যেহেতু ট্যাক্স দেয়া হচ্ছেনা,তাই ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার গুনাহ হবে।