আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in পবিত্রতা (Purity) by (45 points)

আসসালামু আলাইকুম

  1. হায়েজ থেকে পবিত্র হবার জন্য যখন ফরজ গোসল করা হয় তখন কি গোপনাঙ্গের লোম পরিস্কার করা আবশ্যক?
  2. ওযু করে সালাতে দাঁড়ানোর একটু পরেই লজ্জাস্থানে ভেজা অনুভব হয়। মনে হয় সাদা স্রাব এসেছে। এতে কি ওযু ভেঙে যাবে? এ পরিস্থিতিতে কি কুরসুফ দিয়ে চেপে সালাত আদায করা যাবে?
  3. যেদিন হায়েজের তারিখ সেদিন যদি পরিপূর্ণ রক্ত না দেখে সুফরা বা কুদরা দেখি তবে কি তা হায়েজ ধর্তব্য? না পরিপূর্ণ রক্ত দেখা জরুরি?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফরয গোসলের তিনটি ফরয বা রুকুন রয়েছে।(১)কুলি করা(২)নাকের নরম স্থানে পানি পৌছানো(৩)সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।

সুতরাং
(১)
হায়েজ থেকে পবিত্র হবার জন্য যখন ফরজ গোসল করা হবে, তখন গোপনাঙ্গের লোম পরিস্কার তথা এবং লোমের গোাড়ায় পানি পৌছানো অত্যাবশ্যকীয়।

(২)
জ্বী, আপনি কুরসুফ রাখবেন।এবং নামায পড়বেন।

(৩)
8214 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,হায়েয সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُواْ النِّسَاء فِي الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىَ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।(সূরা বাক্বারা-২২২)

এক হায়েয থেকে আরেক হায়েয পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১৫ দিনের ব্যবধান থাকতে পারে।অর্থাৎ একবার হায়েয শুরু হয়ে শেষ হওয়ার পর সর্বনিম্ন ১৫ দিন পর দ্বিতীয় হায়েয শুরু হবে।

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
যেহেতু আপনার ১৬দিন পবিত্র থাকার পর হায়েয শুরু হয়েছে,সুতরাং এই ১৬ দিনের পর শুরু হওয়া স্রাবকে হায়েয হিসেবেই গণ্য করা হবে।এবং তা সর্বোচ্ছ ১০ দিন পর্যন্ত হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে।১০দিন পর যদি আরও অতিরিক্ত স্রাব দেখা যায়,তাহলে সেটাকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭৬)

হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।

কারো যদি নিয়ম থাকে যে, মাসে চার বা পাঁচ দিন হায়েয আসে।এই চার বা পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে যে নামাযের ওয়াক্তে রক্ত বন্ধ হবে, সে নামাযের আখের ওয়াক্তে গোসল করে উক্ত নামায পড়বে।অতঃপর আবার হায়েয দেখা দিলে নামায ছেড়ে দিবে।(আহসানুল ফাতাওয়া;২/৬৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পিরিয়ডের ডেটের দিন যদি সুফরা বা খুদরা শুরু হয়েছে।এটা পিরিয়ড হিসেবে গণ্য হবে। এমতাবস্থায় আপনি সালাত আদায় করবেন না।যখন দশ অতিবাহিত হবে বা বন্ধ হবে,তখনই আপনি সালাত আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 206 views
...