বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যিকির বা দু'আ কে হাতিয়ার বা অস্র বানানো নাজায়েয ও হারাম।সুতরাং ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার হাতিয়ার হিসাবে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার দু'আকে এলার্ম হিসেবে দেয়া কখনো জায়েয হবে না।হ্যা দু'আ শিক্ষার নিয়তে সাময়িকভাবে দেয়া যেতে পারে।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻣﻦ ﺟَﻠَﺲَ ﻓﻲ ﻣَﺠْﻠِﺲٍ ﻛَﺜُﺮَ ﻓﻴﻪ ﻟَﻐَﻄُﻪُ ﻓﻘﺎﻝ ﻗﺒﻞ ﺃَﻥْ ﻳَﻘُﻮﻡَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃﻧﺖ ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ ﺛُﻢَّ ﺃَﺗُﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺇِﻻَّ ﻏَﻔَﺮَ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ ﻣَﺠْﻠِﺴِﻪِ ﺫﻟﻚ ) . ﺃﺧﺮﺟﻪ : ﺃﺣﻤﺪ ( 2/494 ) ، ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( 4859 ) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 3762 ) ، ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ ﻓﻲ “ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ ” ( 10230 ، 10257 ) ، ﻭ ﻓﻲ “ ﻋﻤﻞ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﻭﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ” ( 397 ، 424 ) ، ﻭﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ “ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ” ( 1919 ) ، ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ( 1/720 ) ﻭﻗﺎﻝ : ﻫﺬﺍ ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﻣﺴﻠﻢ ﻭﻟﻢ ﻳﺨﺮﺟﺎﻩ . ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ “ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ ” ( 2651 )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,কোনো মজলিসে সগিরা গোনাহ হয়ে গেলে,সেই মজলিস থেকে উঠার পূর্বে যদি কেউ এই দু'আ পড়ে নেয়,তাহলে উক্ত মজলিসের সমস্ত সগিরা গোনাহ এবং আল্লাহ চাহে তো কবিরা গোনাহও মাফ হয়ে যাবে।দু'আটি এই-
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃﻧﺖ ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ ﺛُﻢَّ ﺃَﺗُﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ
(সুনানে তিরমিযি-৩৭৬২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হাদীসে সগিরা গোনাহ মাফ হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে।কবিরা গোনাহ সম্পর্কে হাদীসে মাফের ঘোষণা উহ্য।কবিরা গোনাহ তাওবাহ ব্যতীত মাফ হয় না।সুতরাং মুবাইল দ্বারা কোনো কবিরা গোনাহ কেউ করলে,সেই গোনাহ উক্ত দু'আ দ্বারা মাফ হওয়ার বিষয়টা নিশ্চিত নয়।