ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরআনে ২৫ জন নবীর এসেছে। অতঃপর বলা হয়েছে,
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِّن قَبْلِكَ مِنْهُم مَّن قَصَصْنَا عَلَيْكَ وَمِنْهُم مَّن لَّمْ نَقْصُصْ عَلَيْكَ ۗ وَمَا كَانَ لِرَسُولٍ أَن يَأْتِيَ بِآيَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ فَإِذَا جَاءَ أَمْرُ اللَّهِ قُضِيَ بِالْحَقِّ وَخَسِرَ هُنَالِكَ الْمُبْطِلُونَ
আমি আপনার পূর্বে অনেক রসূল প্রেরণ করেছি, তাদের কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করেছি এবং কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করিনি। আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রসূলের কাজ নয়। যখন আল্লাহর আদেশ আসবে, তখন ন্যায় সঙ্গত ফয়সালা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মিথ্যাপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।(সূরা আল মু'মিন-৭৮)
সাহাবা তথা পুরুষ সাহাবা ও মহিলা সাহাবিয়ার সংখ্যা সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো হাদিস পাওয়া যায় না। তবে হাদিস, সিরাত ও ইতিহাসের বিভিন্ন দিক গবেষণা করে মুহাদ্দিসরা এর আনুমানিক সংখ্যা উল্লেখ করেছেন।যেমন—
ইমাম মুসলিমের উস্তাদ হাফেজ আবু জুরয়া (রহ.) দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, সাহাবিদের সংখ্যা ১,১৪,০০০ (এক লাখ ১৪ হাজার)। [আল জামে ২/২৯৩ (খতিব বাগদাদি)]
আবু জুরয়া (রহ.)-কে নবী করিম (রা.) থেকে যেসব সাহাবি হাদিস বর্ণনা করেছেন, তাঁদের সংখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কে এই সংখ্যা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করেছে? বিদায় হজে নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন ৪০ হাজার সাহাবি, আর তাবুক যুদ্ধে ৭০ হাজার সাহাবি।
তিনি আরো বলেছেন, ‘নবী (সা.) মদিনা, মক্কা ও এর মাঝের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী এবং বেদুইনদের মধ্য থেকে এক লাখ ১৪ হাজার সাহাবি দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করেন। যারা তাঁর কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন এবং তাঁর কাছে শুনেছেন।অথবা তিনি বলেছেন, যাঁরা তাঁকে দেখেছেন বা তাঁর কথা শুনেছেন)। আর বিদায় হজে জাবালে আরাফাতে (আরাফাত পর্বতে) সবাই তাঁকে দেখেছেন এবং তাঁর কথা শুনেছেন।’ (মুকাদ্দামায়ে ইবনুস সালাহ, মারিফাতু আনওয়ায়ি উলুমিল হাদিস। অধ্যায় : ৩৯, অনুচ্ছেদ: সাহাবি-পরিচিত)
জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) বলেন, সাহাবিদের সংখ্যা ১,২৪,০০০ (এক লাল ২৪ হাজার)।
সবার নাম কুরআনে নেই। শুধুমাত্র সাহাবী যায়েদ রাযি এর নাম রয়েছে।