আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমরা দুই বোন, আমার বাবা তার সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে তার টাকা টা আমাদের দুই বোনের নামে দিয়ে যেতে চান। কারণ আমার চাচার ছেলেরা আমাদের ন্যায্য প্রাপ্য দিবেন না বলে তার ধারণা। তাই সম্পদের কিছু অংশ বিক্রি করতে চান।
এতে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা হয়। এখন এই টাকা টা আমরা কিভাবে সংরক্ষণ করে রাখলে সুদের মধ্যে যেতে হবে না,কিন্তু আমার প্রতিমাসে কিছু হাত খরচ হিসেবে টাকা পেতে পারি?
ব্যাংকে ইসলামিক নিয়মে বলা হয়, টাকা ফিক্সড করে রাখার পর কিছু ক্ষেত্রে ইনভেস্ট করে তারা যে লাভ পায় সেটা থেকে ৫-৯% লাভ দিবে প্রতি মাসে। এটি নির্দিষ্ট নয় যদিও তবু কি নেওয়া যাবে?
আমাদের পরামর্শ দিবেন কিভাবে টাকা টা ইসলামিক নিয়মে সংরক্ষণ করতে পারি এবং ব্যাংকে রাখতে চাইলে কি কি দিক দেখলে তা ইসলামিক হবে?

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জবিউল ফুরুজঃ
এদের অংশ পবিত্র কোরআন শরীফে নির্ধারণ করে দেয়া আছে। জবিউল ফুরুজ হল ১২ জন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং বাকি ৮ জন মহিলা। ৪ জন পুরুষ হল - ১) স্বামী, ২)পিতা, ৩)দাদা, ৪) সৎ ভাই (বৈপিত্রেয়)। ৮ জন মহিলা হল - ১)স্ত্রী, ২)কন্যা, ৩)পুত্রের কন্যা, ৪)মাতা, ৫)দাদি এবং নানি, ৬)সহোদর বোন, ৭) সৎ বোন (বৈমাত্রেয়), ৮)সৎ বোন (বৈপিত্রেয়)। নির্ধারিত অংশের পরিমান নিম্নরূপঃ
(১) স্বামী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(২) স্বামী ১/২ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৩) স্ত্রী ১/৮ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(৪) স্ত্রী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৫) কন্যা ১/২ পাবে যখন একজন মাত্র কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৬) কন্যা ২/৩ পাবে যখন দুই বা ততধিক কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৭) কন্য অবশিষ্ট ভোগী হিসাবে পাবেন যখন এক বা একের অধিক পুত্র থাকে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343

হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ، قَطَعَ اللَّه ُمِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি তার ওয়ারিছদেরকে মিরাছ প্রদান থেকে পলায়ন করবে(তথা-ওয়ারিছদেরকে মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবে)আল্লাহ তা'আলা ক্বিয়ামতের দিন তাকে জান্নাতের মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ-২৭০৩)

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ اﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ - ﻋَﻦِ اﻟﻨَّﺒِﻲِّ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - ﻗَﺎﻝَ: «ﻻَ ﻭَﺻِﻴَّﺔَ ﻟِﻮَاﺭِﺙٍ، ﺇِﻻَّ ﺃَﻥْ ﻳَﺸَﺎءَ اﻟْﻮَﺭَﺛَﺔُ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ ওয়ারিছদের জন্য কোনো ওসিয়ত নেই,তবে যদি অন্যান্য সমস্ত ওয়ারিছরা রাজি থাকে তাহলে জায়েয আছে। (মিশকাত-৩০৭৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবার জন্য তার ভাইয়ের ছেলেদেরকে তাদের  অংশ থেকে বঞ্চিত করা জায়েয হয়নি। যাইহোক, আপনারা দুই তৃতীয়াংশ রেখে বাদবাকি টাকা চাচাতো ভাইদেরকে দেয়ার চেষ্টা করবেন। টাকাগুলো ব্যাংকে রাখা এবং মুনাফা গ্রহণ করা জায়েয হবে না। আপনার ফ্ল্যাট বা বাসা ক্রয় করে নিতে পারেন। অথবা হালাল ত্বরিকায় পর্দা সম্মতভাবে ব্যবসা করার চিন্তা করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকিল্লাহু খইরন। 
আমি বুঝতে পেরেছি। আমি এ সম্পর্কে আমার বাবার সাথে কথা বলেছি। আমার দুই চাচার মধ্যে এক চাচার ছেলেকে অর্থ দেওয়া হবে।তবে আরেক চাচা ও তার ছেলেরা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে এবং এখনও করার সুযোগ খুঁজে। কালোজাদুও করেছে৷ এক্ষেত্রে আমরা তাদের সাথে দূরত্ব বজায় রেখেই চলি। 
এক চাচাত ভাইকে তার প্রাপ্য দিচ্ছি। আর অন্য চাচার সাথে যেহেতু এমনিতেও সম্পর্ক নেই,এবং তারা আমাদের ক্ষতি করারও চেষ্টা করে। আর এটা সম্পদের মধ্যে শুধুমাত্র একটা অংশ বাকি ভিটা বা অন্যান্য সম্পদ সবই আছে। এক্ষেত্রেও কি এই অর্থ থেকে তাদের দিতে হবে?
by (588,600 points)
যেই চাচার সাথে আপনাদের সম্পর্কের অবনতি রয়েছে, সেই চাচার ছেলেকেও কিছু দিয়ে দিবেন। এখন না দিলে যখন সম্পর্ক কিছুটা ভালো হবে, তখন না হয় দিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...