ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কারো যদি অজু নিয়ে মনে প্রশ্ন আসে, অজু আছে নাকি ভেঙে গেছে? তাহলে যতক্ষণ না নিশ্চিত ভাবে অজুর ভঙ্গের ইয়াকিন বিশ্বাস হবে, অজু রয়েছে বলে ধরে নিবেন।
(২) যদি এমন হয় বুদবুদ টাইপের বের হওয়া মতো মনে হয় কিন্তু বাতাস বা গন্ধ বের হওয়া মনে হয়না এবং শব্দ হলেও সেটা হয়তো আমার একদম পাশে দাঁড়িয়ে থাকাও কেউ শুনতে পাবেনা, তাহলে অজু ভঙ্গ হয় নাই বলেই ধরে নিবেন।
(৩) চোখে না পড়লে, নাপাকি নেই ধরে নিবেন।
(৪) মানুষ টয়লেট থেকে এসে যেখানে পা ধৌত করে, সেখানে যদি দৃশ্যমান কোনো নাপাকি না থাকে, তাহলে সেখান থেকে পানির ছিটা গায়ে এসে পড়লে, গা নাপাক হবে না।
(৫) টয়লেট থেকে এসে যে বেসিনে হাত ধৌত করা হয়, সেই বেসিন থেকে পানি ছুটে পড়লে, সেই পানিকে পাক বিবেচনা করা হবে।
(৬)অদৃশমান নাপাক কাপড় ধোয়ার সময় একবার ধুয়ে সেই হাত দিয়ে ট্যাপ অফ করলে, ট্যাপ নাপাক হবে। এজন্য পৃথক পানি দ্বরা হাত ধৌত করে তারপর ট্যাপ ধরতে হবে।