আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in পবিত্রতা (Purity) by (11 points)
اسلام عليكم و رحمةالله وبركاته
আমার ওজু,ইস্তেঞ্জা, কাপড় ধোয়াতে অনেক সময় লাগে,সলাতেও মাঝে মাঝেই সাদাস্রাব আর বায়ু নির্গত হওয়া নিয়ে দ্বিধায় ভুগি
১.আমার যদি ওজু নিয়ে প্রশ্ন মনে আসে ওজু আছে নাকি ভেঙে গেছে তাহলে কি আমি এটাকে ওয়াসওয়াসা ধরে নামাজ চালিয়ে যাবো?প্রশ্ন আসা মানেই কি নিশ্চিত না হওয়া?

২.যদি এমন হয় বুদবুদ টাইপের বের হওয়া মতো মনে হয় কিন্তু বাতাস বা গন্ধ বের হওয়া মনে হয়না এবং শব্দ হলেও সেটা হয়তো আমার একদম পাশে দাঁড়িয়ে থাকাও কেউ শুনতে পাবেনা তাহলে কি ওজু ভেঙে গেছে ধরবো না ওজু আছে?

৩.আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকি, সেখানে বিভিন্ন ধরনের মানুষ থাকে বেশিরভাগ হয়তো পাকপবিত্রতা নিয়ে সচেতন না, বিভিন্ন সময় মানুষের চোখেও পড়ে তো চোখে না পড়লে কি নাপাকি নেই ধরে নেবো?

৪.মানুষ টয়লেট থেকে এসে যেখানে পা ধোয় সেখানে তো নাপাকি থাকার অনেক সম্ভাবনা থাকে, সেখান থেকে পানি ছিটে গায়ে পড়লে কি নাপাক হবে?

৫.টয়লেট থেকে এসে যে বেসিনে হাত ধোয় সেই বেসিনের থেকে পানি ছুটে পড়লে পাক ধরে নেবো?

৬.অদৃশমান নাপাক কাপড় ধোয়ার সময় একবার ধুয়ে সেই হাত দিয়ে ট্যাপ অফ করলে ট্যাপ কি নাপাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (602,190 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কারো যদি অজু নিয়ে মনে প্রশ্ন আসে, অজু আছে নাকি ভেঙে গেছে? তাহলে যতক্ষণ না নিশ্চিত ভাবে অজুর ভঙ্গের ইয়াকিন বিশ্বাস হবে, অজু রয়েছে বলে ধরে নিবেন।

(২) যদি এমন হয় বুদবুদ টাইপের বের হওয়া মতো মনে হয় কিন্তু বাতাস বা গন্ধ বের হওয়া মনে হয়না এবং শব্দ হলেও সেটা হয়তো আমার একদম পাশে দাঁড়িয়ে থাকাও কেউ শুনতে পাবেনা, তাহলে অজু ভঙ্গ হয় নাই বলেই ধরে নিবেন।

(৩) চোখে না পড়লে, নাপাকি নেই ধরে নিবেন।

(৪) মানুষ টয়লেট থেকে এসে যেখানে পা ধৌত করে, সেখানে যদি দৃশ্যমান কোনো নাপাকি না থাকে, তাহলে  সেখান থেকে পানির ছিটা গায়ে এসে পড়লে, গা নাপাক হবে না।

(৫) টয়লেট থেকে এসে যে বেসিনে হাত ধৌত করা হয়, সেই বেসিন থেকে পানি ছুটে পড়লে, সেই পানিকে পাক বিবেচনা করা হবে।

(৬)অদৃশমান নাপাক কাপড় ধোয়ার সময় একবার ধুয়ে সেই হাত দিয়ে ট্যাপ অফ করলে, ট্যাপ নাপাক হবে। এজন্য পৃথক পানি দ্বরা হাত ধৌত করে তারপর ট্যাপ ধরতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...