আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,আমি বিয়ের ৪/৫বছর আগে দ্বীনের পথে ফিরে আসছি, এবং আল্লাহ র কাছে প্রচুর দোয়া করেছি সুরা,কাছাছের ৭৪ নাম্বার আয়াত ও আমল করেছি দোয়ার জন্য, তারপর ফ্যামেলি অনেক চাপ দিতো যে বিয়ের জন্য আমি রাজি হতাম না, আমার সাপোর্ট করার কেউ ছিলো না,এক সময় বাবা জানান যে তিনি চেস্টা করেছেন আমি যেমন চাই তেমন পাওয়া যায় না কয়েকজন দ্বীনদার পাওয়া গেছিলো তারা ছিলো লেবাসদ্বারী, তারপর আমি বললাম যে কমপক্ষে নামাজ, রোজা করে, আমাকে পর্দা করতে দিবে এরকম একটা ফ্যামেলির সম্বন্ধে রাজি হয়ে যাই কিছু করার ছিলো না,(বাবা বলছিলেন এটা না করলে তিনি আর আমায় বিয়ের দেওয়ার চেস্টা করবেন না) ভাবছিলাম নামাজ তো পরে অন্য কোনো খারাপ কাজেও জড়িত নয়, তাই সেখাইনে আল্লাহর ইচ্ছে আমার বিয়ে হয়,এখন আমার বিয়ের ১১মাস স্বামী নামাজ পড়ে না শুধু জুম্মা পড়ে, বুঝাইলে তখন বাসায় থাকলে ২/৩ ওয়াক্ত তখন পড়েন,রোজা রাখেন তবে রোজা রেখে শুধু মাগরিব পড়তেন তাও আমার পীরাপিড়িতে। এখন যেখানে কাজ করেন যেখানে হালাল হারাম মিশ্রিত পন্য আমি বুঝাচ্ছি অন্য কাজ দেখার জন্য জানিনা কি হবে! উস্তায আমি খুবই হতাশায় ভুগতেছি আমার মনে হয় আমার জন্য এরকম হইছে আমি যদি আরো শক্ত হইতাম তাহলে হইতো এই কঠিন যুগে আমাকে বেদ্বীন বিয়ে করা লাগতো না, আমার কি এটা তাকদীরে ছিলো নাকি আমি আমার ভাগ্য বদলাতে চেস্টা করিনি যার ফলে এমন হইছে?? আমার মনে হচ্ছে আমি আস্তে আস্তে দ্বীন থেকে সরে যাবো এরকম মানুষের সাথে থাকলে মাঝে মাঝে মনে হয় মরে যেতে। আমি কি দোয়া জারি রাখবো যাতে আল্লাহ তায়ালা হিদায়েত চাইলে দিতেও পারেন এই আশায়। উনি তিলাওয়াত ও ভুলেগেছেন আমি খুবই মানুষিক অশান্তিতে আছি এসব নিয়ে। আমি কি আমল করলে মনের অস্তিরতা কাটবে, আর কিভাবে দোয়া করবো হেদায়াত এর জন্য???? আফওয়ান গুছিয়ে লিখতে পারিনি লম্বা হয়েগেছে।

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
আসসালামু আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/55713/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে, 
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে। কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। সূরা ফাতির-১৮

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

আপনার এবং আপনার অভিভাবকদের উচিৎ ছিল যে, প্রথম থেকে দ্বীনদার একজন পাত্রর সাথে ঘর বাঁধা বা বাঁধানো। যাইহোক, যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে, এখন বর্তমান পরিস্থিতে স্বামীকে বুঝিয়ে গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন। তাকে আলতো করে আদর করে নামাযের কথা বলুন। ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন। 

তাকে বুঝিয়ে তাবলীগ জামাতে পাঠানোর চেষ্টা করতে পারেন। বারবার তাকে আদব ও মুহাব্বতের সাথে বুঝাতে থাকবেন। আবার IOM -এ ভর্তি করাতেও পারেন।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/295 

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...