আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ মোহতারাম।
আমার কাকির সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। কিছু দিন আগে তাদের পরিবার একটা বিপদের সম্মুখীন হয়। তো ওই সময় কাকিই সবকিছু ম্যানেজ করতেছিলো। আমি এই ভেবে তাকে ফোন দেইনি যে, তিনি খুব ব্যস্ত এবং মানসিক অবস্থাও ভালো নেই।তাই আমি তার মেয়ের থেকেই সব আপডেট নিতাম।তাদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিতাম।কিন্তু কাকি হয়তো এই ভেবে আমার সাথে অভিমান করেছে যে আমি তাদের বিপদের সময় ফোন দিলাম না বা অন্য কিছু। বিপদ কেটে যাওয়ার পর আমি কয়েকবার ফোন দিছি কিন্তু ফোন ধরে না। আমিও রাগ করে কয়েকদিন আর ফোন দেই নি।২ দিন আগে আবার ফোন দিছি  ধরে না। এক্ষেত্রে কি আমার ধারা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার গুনাহ হবে?
২,উস্তাদ, যেসব জিনিস হলে ব্যবহারের অনুমতি আছে যেমন,ফ্যান, লাইট এগুলা কম ব্যবহার করে যদি হিটার/ চুলা ব্যবহার করি তাহলে জায়েজ হবে কি? যেমন পানি/ খাবার গরম  করতে ইনডাকশন চুলাতে  ১০ মিনিটের মতো  সময় লাগে তো আমি যদি ১৫/২০ মিনিট ফ্যান,লাইট ব্যবহার বন্ধ রাখি যদিও ওই সময় ফ্যান চালানো আমার জন্য জরুরি,তাহলে গুনাহ থেকে দায় মুক্ত হবো?এই দিক দিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ব্যবহার করলাম?.যেহেতু অনুমতি না দেওয়ার কারণ বিল বেশি ওঠা প্রিন্সিপাল স্যারে কথার মাধ্যমে জেনেছি।  দয়া করে উত্তর দিলে মুনাসিব হতো। উল্লেখ যে আগে কলেজ থেকেই এক ধরনের ইলেকট্রিক চুলা লাগিয়ে দিতো সিনিয়র আপুদের রুমে দেখছিলাম,এখন দেয় না কেনো জানি না।আগের গুলা নষ্ট হয়ে গেছে।
৩. নাবালেগ(৬-৭ বয়সী ) বাচ্চা যদি কোনো কবিরা গুনাহ যেমন যিনা (তার বয়সী বাচ্চার সাথে) যদিও তারা এ সম্পর্কে কিছুই বুজে না, এবং অন্যের জিনিস নিয়ে আসে তাহলে কি গুনাহ হবে?  বড় হয়ে যদি সত্যিকারের দ্বীনদার হয় তখন কি যার জিনিস চুরি করেছিলো তাকে তার জিনিসের জরিমানা দিতে হবে।কিংবা বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র /পাত্রীর চাহিদা যদি হয় কারো সাথে শারিরীক সম্পর্ক  থাকতে পারবে না.এক্ষেত্রে কি বাচ্চাদের এই কাজকে শারিরীক সম্পর্ক/যিনা ধরা যাবে ?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/18346/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ 
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ,এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোরভাষা ব্যবহার করেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে  

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

.(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্নের গুনাহ আপনার গুনাহ হবেনা।

তবে আপনি মাঝে মাঝে কয়েকদিন/কয়েক সপ্তাহ পর পর ফোন দিয়ে যাবেন।

দেখাসাক্ষাৎ হলে কুশল বিনিময় করবেন।

(০২)
না,এক্ষেত্রে আপনি গুনাহ থেকে দায় মুক্ত হবেননা। হলের আইন ভঙ্গের গুনাহ হবে।

(০৩)
ক, এক্ষেত্রে তাদের যেনার গুনাহ হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَبْلُغَ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يعقل

‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি (কিয়ামত দিবসে) দায়-দায়িত্বমুক্ত। ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে না ওঠা পর্যন্ত, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালেগ না হওয়া পর্যন্ত এবং নির্বোধ ব্যক্তি (বুদ্ধি-বিবেচনার) জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত।
(সহীহ : তিরমিযী ১৪২৩, আবূ দাঊদ ৪৪০৩।)

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا, عَنْ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ, وَعَنِ الصَّغِيرِ حَتَّى يَكْبُرَ, وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ, أَوْ يَفِيقَ».

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছেঃ ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়।

(আবূ দাউদ ৪৩৯৮, নাসায়ী ৩৪৩২, ইবনু মাজাহ ২০৪১, আহমাদ ২৪১৭৩, ২৪১৮২, দারেমী ২২৯৬।)

খ, ছোট অবস্থায় কাহারো সম্পদ চুরি করে থাকলে তার বাবা এটার ক্ষতিপূরণ দিবে।

বাবা না দিলে সে বড় হয়ে দিবে।

গ, এক্ষেত্রে বাচ্চাদের এই কাজকে শারিরীক সম্পর্ক/যিনা ধরা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...