আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
আমার বাচ্চার বয়স ১৪ মাস। গত একমাস যাবত সে কিছু জিনিস দেখে মাঝেমধ্যে ভয় পাচ্ছে। যেমন, কোনো সুতা, মাটিতে পড়ে থাকা চুল, বাসার ঝুল, বা দেয়ালে কোনো কালো চিকন দাগ। এটাকে আমরা প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও পরে মনে হলো কোনো বদনজর বা জিন সংক্রান্ত সমস্যা কিনা।
গত কয়েকদিন আগে, এজন্য আমরা গ্রামের এলাকার একজন মাওলানার কাছে বাচ্চাকে নিয়ে যাই। উনি এলাকায় এই সংক্রান্ত কাজের জন্য পরিচিত। তবে উনি কবিরাজ নন, মাওলানা। অনেকেই উনার কাছে এ জাতীয় সমস্যার জন্য আসেন। আমরাও বাচ্চার সমস্যার কারণে উনার শরণাপন্ন হই।

উনি বাচ্চাকে দেখে বলেন, বাচ্চার মধ্যে এই সমস্যা কবে থেকে। আমরা বলি, এক মাস। এরপর উনি বলেন, বাচ্চার সমস্যা আছে। বাচ্চাকে তাবিজ ব্যবহার করতে হবে। আমরা জিজ্ঞেস করি, কতদিন তাবিজ ব্যবহার করতে হবে? উনি বললেন, হয়তো সারাজীবনই ব্যবহার করতে হবে। যেখান থেকেই এই সমস্যাটা বাচ্চার হোক, সেটা ওকে ছাড়বে না। সেটা ওর ক্ষতি করতে চায়।

এখন, আমাদের কী করা উচিত? আমরা কি তাবিজ নিব? কীভাবে বাচ্চার এই সমস্যার সমাধান করা যবে?  দ্রুত সমাধান দিবেন ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাদেরকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করবেন। এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থেকে সন্তানের জন্য দু',আ করবেন।

(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করে সন্তানের জন্য দু'আ করবেন।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে এবং সন্তানকে হেফাজতের চেষ্টা করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়ে সন্তানের শরীরে ফুক দিবেন ।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
দেখুন- http://ifatwa.info/1093

প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়ে ফুক দিবেন। এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়বেন।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়বেন।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،
প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর সন্তানকে খাওয়াবেন।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ হুজুরকে জিজ্ঞাসা করবেন তিনি কি কুরআন হাদীস থেকে তাবীয দিবেন। যদি কুরআন হাদীস থেকে তাবীয দিয়ে থাকেন, তাহলে সন্তান সাবালক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সন্তানকে তাবীয পড়াতে পারবেন। যখনই সন্তান দু',আ মুখস্ত করে নিবে, তখন তাবীয খুলে দিয়ে দু'আ পড়তে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...