আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in পবিত্রতা (Purity) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি আল্লাহ আপনাদের ভালো রেখেছেন। আমি কয়েকটি বিষয় জানতে চাই।

১) প্রসাব অনেক বেশি পরিমানে প্যান্টে লেগেছে, এই প্যান্ট যদি পুকুরে ধুয়ে ফেলি তাহলে কি তিনবার ধুইতে হবে নাকি ভালোভাবে একবার ধুয়ে চিপে নিলেই হবে?
২) প্যান্টে এত বেশি পরিমানে প্রসাব লেগেছে কার্পেটে (প্লাস্টিক কার্পেট) কয়েক ফোটা পড়েছে, এক্টূ পর সেটা শুকিয়ে গিয়ে আর কোন চিহ্ন নাই যদিও আমি শুকানোর পর শুকনা কাপর দিয়ে মুছে ফেলেছি, এতে কি সেই জায়গা পাক হয়েছে?
৩) ইমাম যদি মুকিম হয় আর আমি মুসাফির সেক্ষেত্রে জামাতে শরিক হয়ে যদি শেষ বৈঠক পাই তাহলে ইমাম সালাম ফিরানর পর কি দুই রাকাত কছর করে নামাজ শেষ করব নাকি পুরা চার রাকাত পরব? নিয়ত কেমন হবে কছরের নাকি চার রাকাতের?
৪) ঢাকা শহরে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা ডুবে জায়, ক্ষেত্রবিশেষ অনেক সতর্ক থাকার পরেও কাপরে সেই পানি লাগে, এই পানির বিধান কি? ঢাকার পানি তো টয়লেটের গন্ধ করে একটু বৃষ্টি হলেই যে পানি হয় সেখান থেকে।
৫) স্তন থেকে দুধ ব্যতিত যদি অন্য কিছু বের হয় সেটার বিধান কি? এক ভাই জানিয়েছে তার স্ত্রীর স্তন থেকে আঠাল হাল্কা ঘন কিছু (মজি থেকে আরেকটু ঘন ফ্রেশ সাদা না এমন কিছু) বের হয় সহবাসের সময় মর্দন করলে বা সহবাস ছারাও হাল্কা চাপ লাগ্লেই বের হয়, এটা কি কাপরে লাগ্লে নাপাক হবে বা অজু ভেঙ্গে যাবে? সহবাসের সময় এটা মুখে চলে গেলে করনিও কি? উল্লেখ্য উনার স্ত্রী প্রেগ্ন্যান্ট, ৪ মাস চলে, এই সমস্যা নাকি আগে হয়নি ইদানিং হচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (58,740 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

ক. তরল নাপাকঃ পেশাব বা এ জাতীয় কোন  তরল নাপাক কাপড়ে লাগলে তিন বার উত্তমরূপে নিংড়িয়ে ধৌত করতে হবে; যদি তা কোন পাত্রে ধৌত করা হয়। আর যদি প্রবাহিত পানি বা পুকুর অথবা নদীতে পুরো কাপড় চুবিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তিনবারের অনিবার্য কোন শর্ত নেই।

খ. শক্ত নাপাকঃ কোনো বস্তুতে পায়খানা বা শক্ত নাপাকি লাগলে প্রথমে উক্ত নাপাকি অপসারিত করতে হবে। তারপর তা তিনবার ধৌত করতে হবে। আর যদি তিন বারেও নাপাকি দূর না হয় তাহলে নাপাকি দূর না হওয়া পর্যন্ত ভালোরূপে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। সুতরাং কাপড় ভালো ভাবে ধৌত করার পরও নাপাকির দাগ থাকলে কোনো  নেই।


https://ifatwa.info/52954/  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

১. কাপড় প্রবাহিত পানিতে মানে ট্যাপের পানিতে ধোয়ার নিংড়ানোর সময় হাতে যে পানি লাগে, হাতে সেই কাপড় থাকা অবস্থাতেই সেই পানি সেই কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে না।কেননা প্রবাহিত পানিতে তিনবার ধৌত করা লাগে না।এবং যে পানি হাতে লাগে, সেই পানিও নাপাক নয়।

২. কাপড় নিংড়ানোর সময় কিছু পানি হাতের তালু বেয়ে কনুই পর্যন্ত নেমে আসে। কাপড় ঘুরিয়ে পেচিয়ে নিংড়ানোর সময় সেই পানি থাকা অবস্থায় হাতে কাপড় সামান্য ছোয়া লাগে।যদি তা প্রবাহিত পানিতে কাপড় ধৌত করার পর হয়ে থাকে, তাহলে তা পবিত্র, নতুবা অপবিত্র হিসেবে বিবেচিত হবে।

إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.

যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে,এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)


এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/23740 

পাক-নাপাক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/53602/    


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পুকুরে ধৌত করার সময় একটু ভালো ভাবে ধৌত করলে কাপড় পাক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

সেক্ষেত্রে তিনবারের অনিবার্য কোন শর্ত নেই।

২. কার্পেট যেহেতু প্লাস্টিকের। তাই ভালোভাবে মোছার দ্বারা যদি নাপাকির চিহ্ন চলে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যাবে।

৩. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে চার রাকাত পড়বে। তবে জামাতে শরীক না হয়ে একাকি পড়লে দুই রাকাত পড়বে।


৪. রাস্তায় জমে থাকা পানি বা কাদা পাক। তবে যদি তাতে কোনো নাজাসত বা নাপাকি দৃশ্যমান হয় অর্থাৎ দেখা যায়, তাহলে সেই পানি/কাদা নাপাক হিসেবেই গণ্য হবে।

এ সম্পর্কে আরো জানুন - https://ifatwa.info/55008/


৫. চার/পাঁচ মাসের গর্ভবতী স্ত্রীর স্তন থেকে যে হালকা সাদা পানির মত তরল পদার্থ বের হয়। এটাও দুধের এক প্রকার । সুতরাং এ প্রকার দুধ স্বামীর জন্য খাওয়াও হারাম।

এ সম্পর্কে আরো জানুন - https://ifatwa.info/14881/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...